Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

FB_IMG_1492429069831-2

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭: মোঃ রাসেল মিয়াঃ নরসিংদী জেলা মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্স ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মজিব নগর সরকারের শপথ গ্রহন উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সভাপতি আব্দুল মোতালিব পাঠান। জেলার সকল স্তরের মুক্তিযুদ্ধা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হক ও আব্দুল হাকিম, সাংগঠনিক আবুল খায়ের ভূইয়া, হাছেন আলী, সহকারী কমান্ডার আামির উদ্দিন আহমেদ, অজিম উদ্দিন আরমান, মোঃ লস্কর আলী মিয়া, সদর থানা কমান্ডার প্রবিত্রর রঞ্জন দাস (মোহাদেব), ডেপুটি কমান্ডার সদর থানা আবুল কাসেম, ইব্রাহিম মোল্লা, ছাবেদ আলী, নূরে আলম, আব্দুল লতিফ প্রমুখ। ব্যক্তাগণ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বরণ করে বলেন ১৭ এপ্রিল যদি মুজিব নগর সরকারে গঠন না হত তাহলে মুক্তিযুদ্ধার কুচক্রি মহলের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিভিন্ন চক্রান্তে শিকার হতেন। দেশের সাভোমত ক্ষুন্য করত এবং মুক্তিযুদ্ধাদেরর বৈদতা থাকত না। দেশদ্রহী হতেন।
সভায় সভাপতি আব্দুল মুতালিব পাঠান বলেন মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মুজিব কে রাষ্ট্রপতি করে অনুপস্থিতিতে এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধান মন্ত্রি তাজ উদ্দিন আহম্মদকে প্রধান মন্ত্রি করে মুক্তিযুদ্ধা পরিচালনা করেন। প্রধান মন্ত্রি তাজ উদ্দিন আহমেদ ও সেক্টর কমান্ডারগণ বাংলাদেশকে প্রথমে ৪টি অঞ্চলে ভিবক্ত করে। পরবর্তীতে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধকে তরান্বিত করেন।
অস্থায়ী সরকারের প্রধান লক্ষ ছিল দেশে বিদেশে জনমত সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে শক্তি ও সাহস সঞ্চয় করা মজিব নগর সরকারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী দেশ মাত্রিকা কে শত্রু মুক্ত করার কাজে লিপ্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কে পাকিস্থান কারাগার থেকে ফিরিয়ে আনা দেশ থেকে শত্রু বিতারিত করা, হানাদার ও রাজাকার আল বদর, আল সামস শান্তি কমিটি দেশ বিরোধীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষে ততকালিন ভারতে প্রধান মন্ত্রি শ্রীমতি ইন্দারা গান্বী প্রংশনিয় ভূমিকা। নিরস্ত্র বাঙ্গালীকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র প্রদানের মাধ্যমে ভারতের সৈন্য ও মুক্তিবাহিনী মিলে মিত্র বাহিনী হিসেবে যুদ্ধ করে মা, মাটি ও মানুষ মুক্ত করেছি। তাই আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালন করি। ৯ মাস যুদ্ধে পাক বাহিনির হাতে ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছিল ২ লক্ষ ৬৯ হাজার মা বোনের সম্ভ্র বিনিময়ে আজকের স্বাধীন ও সার্ভোবমত বাংলাদেশ ৭১ সালে জাতির পিতার আহবানে যুদ্ধ করেছি। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নির্মূল করব। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, প্রজন্মকে নিয়ে দেশ থেকে চির তরে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস নির্মূল করব। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছেন এই কাজকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা যে যেই অবস্থানেই থাকি না কেন ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রতিহত প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।