Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17965147_1379001428854653_1296130886_nখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, , ১৮ এপ্রিল ২০১৭:  ভারতীয় অব্যাহত সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে বড়াইবাড়ী দিবস সমগ্র জাতীর অনুপ্রেরনার উৎস। ২০০১ সালের এদিনে কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ীতে বিডিআর ও কৃষক-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে ভারতীয় হানাদার বাহিনী বিএসএফ পরাজিত হয়েছিল। সেদিন দেশপ্রেমিক বিডিআর ও দেশবাসী যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল তাতে প্রমানিত হয় কোন সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসী শক্তি বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদশ ন্যাপ নেতৃবৃন্দ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘বড়াইবাড়ী দিবসের ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক আহসান হাবিব খাজা, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান পলাশ, আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্র কেন্দ্র সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভু্ইয়া বলেছেন, বড়াইবাড়ীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাটকের মাধ্যমে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের ইন্দন জুগিয়েছিল ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬বছরে ভারতের অব্যাহত পানি-সীমান্ত-বাণিজ্যিক-আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াতে পারেনি। ভারত বাংলাদেশের সৎ প্রতিবেশী হিসাবে পরিচয় দিতে পরিপূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বড়াইবাড়ী ভারতীয় সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীর সম্মিলিত প্রতিরোধর অংশ।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতা ৪৬ বছরেও বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে নতজানু ও ভারতের পদলেহী নীতির কারণে। বরং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ভারত সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই সীমান্ত হত্যাকান্ড সম্পর্কে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও ভারত পাকিস্তান-শ্রীলংকার সাথে নেতিবাচক আচরনের সাহস পায় না, তাহলে বাংলাদেশের সাথে পায় কিভাবে ? এর জন্য দায়ি বাংলাদেশের সরকার গুলোর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকার জন্য ভারত তোষন নীতি।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, ভারতের অব্যাহত সীমান্ত-পানি-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শাসগোষ্টি সকল সময়ই নিরব ভূমিকা পালন করে। ক্ষমতায় টিকে থাকা আর ক্ষমতার যাওয়ার লড়াইয়ে সোচ্চার হলেও শাসক দলগুলো দেশের স্বার্থে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিরব থাকে।