খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৭: বায়ার্নের মাটিতে প্রথম লেগটা জিতে আগেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত সময়ে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে সেমির লড়াইয়ে ছিলেন রোবেনরাও। তবে অতিরিক্ত সময়ের তিন গোলে শেষ হাসি হাসে রিয়াল মাদ্রিদই। পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর হ্যাটট্রিকে বায়ার্নকে কাঁদিয়ে ইউরোপসেরার লড়াইয়ে শেষ চারে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত দুই লেগে মিলিয়ে ৬-৩ গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল জিনেদিন জিদানের দল।
প্রথম লেগে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকায় রিয়ালের ঘরের মাটিতে বাঁচামরার ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বায়ার্ন। তবে আক্রমণের শুরুটা করে রিয়ালই। খেলার পঞ্চম মিনিটে বায়ার্নের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ইসকো। চিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিদাল ইসকোকে বাজেভাবে ট্যাকল করলে হলুদ কার্ড দেখেন। ম্যাচের নবম মিনিটে রিয়ালকে বাঁচিয়ে দেন মার্সেলো। থিয়াগোর শট রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ফাঁকি দিলেও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার প্রতিরোধ গড়েন। ম্যাচের ২৭ মিনিটে একইভাবে রিয়ালের দারুণ আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন জেরোমে বোয়েটাং। এর চার মিনিট পর গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ারের ভুলে গোল পেতে পারত রিয়াল। তবে করিম বেনজেমার গায়ে লাগা বলটা গোলপোস্টের বেশ খানিকটা পাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর ৩৭ মিনিটে রোনালদোর নিচু শট সহজে ঠেকিয়ে দেন ন্যুয়ার। খেলার প্রধমার্ধটা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
বার্নাব্যুর দ্বিতীয়ার্ধটা বায়ার্নের। খেলার ৫৫ মিনিটে পুরো মাদ্রিদ সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেন রবার্ট লেওয়ানডভস্কি। রিয়ালের বক্সে কাসেমিরোর ফাউলের শিকার হন রোবেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার। গোল হজম করে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জুতসই আক্রমণ না হওয়ায় গোল পাচ্ছিল না স্পেনের দলটি। ৭৬ মিনিটে দারুণ হেডে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান রোনালদো। তবে রিয়ালের আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট খানিক পরেই রামোসের আত্মঘাতী গোলে আবার পিছিয়ে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। গোল ব্যবধানটা তখন ৩-৩। নির্ধারিত সময়ে গোলের সুযোগ পলেও গোল করতে পারল না কোনো দলই। ফলে খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে ভিদাল দ্বিতীয় হলুদ দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বায়ার্ন। তাই এই অর্ধে এসে আর রিয়ালের সঙ্গে পেরে ওঠেনি জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ১০৪ মিনিটে রামোসের দেওয়া বল বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন রোনালদো, ফিরতি শটে বার্য়ানের জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। পাঁচ মিনিট পরে আবার গোলের আনন্দে মাতেন সিআরসেভেন। ডি-বক্সের ভেতরে মার্সেলোর দারুণ পাসে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই তারকা ফুটবলার। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর শততম গোল। তিন মিনিট পর আসেনসিওর গোলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের। আর ৬-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠে যায় জিদানের শিষ্যরা।