Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Tofail-Ahmedখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭: বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) কোনও ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে বলে জানিয়েছন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইপিজেডগুলোতে যারা কারখানা করেছেন তাদের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেখানে কোনও ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হবে না। কাজেই এখানে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাচ্ছে না। কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) চাচ্ছে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন হোক। তাই এ বিষয়ে একটি সমাধান বের করতে হবে, যাতে ইইউর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট না হয়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস ও জার্মান কনফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল সমারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কথা জানিয়েছে জার্মানের ওই প্রতিনিধি দল। তবে আমি তাদের জানিয়েছি, আমরা ইপিজেডগুলোতে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেছি। এ সংগঠন শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে। তারপরও ইইউ যেহেতু ট্রেড ইউনিয়ন চায়, তাই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। কারণ তারা আমাদের ভালো বন্ধু। বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ৫৫ শতাংশই ইইউ থেকে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর পরিবেশ উন্নত হয়েছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের তিন হাজার ৮০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা পেয়েছে মাত্র এক শতাংশের একটু বেশি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানে দুই শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা থাকা গ্রহণযোগ্য।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক কারখানার শ্রমিক নেতারা কারখানায় কাজ করেন না, যা বাংলাদেশের জন্য সমস্যা। শ্রমিকরাও চান যারা কারখানায় কাজ করেন তারাই শ্রমিক নেতা হোক। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য যারা কাজ করেন না তারাই শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ইইউ বারবার তাগাদা দিচ্ছে, সেহেতু আমরা একটি সমাধান বের করার জন্য উদ্যোগ নেবো। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক আছে। সেখানে আমাকে ডাকা হয়েছে। ইপিজেডে কীভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করা যায়, তার ফর্মুলা বের করা যায় কিনা? সে বিষয়ে আমি সেখানে আলোচনা করবো।