
ধর্মঘটের কারণে সকালে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-কাপ্তাই-বান্দরবান সড়কে কোনো বাস চলেনি। এতে শত শত যাত্রী বিপাকে পড়েন। বাধ্য হয়ে তিন গুণ ভাড়া দিয়ে অনেকে অটোরিকশা, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে যাতায়াত করছেন।
বাস মালিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার বিকালে খাগড়াছড়ি থেকে কুতুকছড়ির দিকে যাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন যুবক একটি বাসের গতিরোধ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁরা বাস ভাঙচুর শুরু করেন এবং বাসের চালক মো. শাহাদাত হোসেন ও চালকের সহকারী মো. আরমানকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও বাস মালিক নেতারা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাত ১০টার দিকে এক বৈঠকে আজ শনিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন বাস মালিক ও শ্রমিকেরা।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈনুদ্দিন সেলিম বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
হঠাৎ করে ধর্মঘট আহ্বান করায় দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। খাগড়াছড়ির যাত্রী মো. আমিনুল হক ও সঞ্জীব চাকমা বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা জানতেন না। আজ যেতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন। তাঁরা গতকাল টিকিট করে রেখেছিলেন। এখন টিকিটের টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে বিকল্প মাধ্যম দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।