খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭: নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের সৌদিয়া বাজার জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তসত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত ঘটিয়ে ওই ছাত্রীর বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছে উপজেলার অমরপুর গ্রামের মৃত ছেরাজল হকের লম্পট পুত্র আলা উদ্দিন (৩৫) ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পরও ধর্ষক ও তার সহযোগী আসামীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী ও ভিকটিমের মাতা শেফালী বেগম জানান, গেল বছরের ২৪ জুলাই আমার স্কুল পড়–য়া মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে উপজেলার অমরপুর গ্রামের মৃত ছেরাজল হকের লম্পট পুত্র আলা উদ্দিন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একই মাসের ২৮ তারিখে ভিকটিমের মা বাড়িতে না থাকার সুবাধে ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূর্বক পুনরায় ধর্ষণ করে আলা উদ্দিন। ভিকটিম বিষয়টি লোকজনকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে ধর্ষক আলা উদ্দিন ভিকটিমকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কয়েক বার ধর্ষণ করে।
এতে ভিকটিম অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার মা’কে অবগত করলে তিনি ঘটনার বিষয়ে ধর্ষক এবং তার পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে কালক্ষেপন করেন।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী সুকৌশলে ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা ভিকটিমকে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে।
ভিকটিমের মা শেফালী বেগম আরো জানান, এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারী একটি মামলা দায়ের করলে মামলার দেড় মাস পরও ধর্ষক সহ অপরাপর আসামীদের গ্রেফতার করছেন না পুলিশ। এদিকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী শেফালী বেগম।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো.হাসান জানান, অভিযুক্ত আলা উদ্দিন সহ অপরাপর আসামীরা পলাতক থাকার কারণে তাদের কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।