খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭: একটি ব্রিজের অভাবে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষসহ শত শত শিশু শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে বাঁশভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিশু শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রামের ১৫ হাজার মানুষের। একটি ব্রিজের জন্য সংলিষ্ট দপ্তরে গ্রামবাসী আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাঁশভাগ গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি খাল বয়ে গেছে। এই খালের উপর দিয়ে চলাচলের জন্য ওই গ্রামের মানুষ ৬-৭টি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়নিত বাঁশভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিশু শিক্ষার্থীদের পারাপার হতে হচ্ছে। আবার ওই গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে দূর্ঘটনার শিকারও হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রামের বৃদ্ধ মানুষের।
বাঁশভাগ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদের মাষ্টার জানান, কয়েকযুগ ধরে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। এতে প্রতিদিন মানুষের চলাচলের সময় দুর্ভোগের শেষ নাই। বাঁশভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সকিনা বেগম জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে দুঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে শিশু শ্রেণির এক ছাত্র ইসতেহাক বিদ্যালয়ে আসার সময় বাঁশের সাঁকো পারাপার হওয়ার সময় সাঁকো থেকে নিচে পড়ে মেরুদন্ডে আঘাত পেয়ে তিনদিন নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বাঁশভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহেল রানা হেলাল জানান, গ্রামবাসী ও শিশুশিক্ষার্থীদের চলাচলের চরম দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের কাছে আমি ব্রিজ নির্মাণের আবেদন জানিয়েছি। তিনি ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।
ৃষকের চাষাবাদ করতে হবে। তাহলেই ক্ষতির হাত থেকে অনেকটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।