Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখােলা বাজার২৪।। রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭: ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্তানায় গতকাল শনিবার অভিযান শেষ করেছে পুলিশ। সেখান থেকে গতকাল আরও কিছু বিস্ফোরক ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাতে অভিযান স্থগিত করা হয়। গতকাল সকাল সোয়া নয়টায় আবার অভিযানটি শুরু হয়ে চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত।
বেলা তিনটার দিকে সংবাদ ব্রিফিং করে পুলিশের খুলনা অঞ্চলের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহম্মেদ অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ওই জঙ্গি আস্তানায় কাউকে পাওয়া যায়নি। জঙ্গিরা অভিযানের আগেই সরে পড়েছে।
ডিআইজি জানান, ওই আস্তানা থেকে দুই দিনে রাসায়নিক ভর্তি ২০টি কনটেইনার, ১০০ প্যাকেট লোহার বল, ৩টি সুইসাইড ভেস্ট, ৯টি সুইসাইড বেল্ট, বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিক সার্কিট, ১৫টি ‘জিহাদি বই’, ৭টি গুলিসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি মোটরসাইকেল, ১টি চাপাতি, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও ৬টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, এটি নব্য জেএমবির বোমা তৈরির কারখানা বলে তাঁরা মনে করছেন। অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে যান বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ। তাঁর স্ত্রী ফাতেমা ওরফে রুবিনাও নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানান তিনি।
যে বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো হয় সেই বাড়ির কাছেই থাকেন চাঁদ আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আব্দুল্লাহ আনুমানিক ৪ বছর আগে সনাতন ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর পাশেই চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়েকে বিয়ে করেন। আব্দুল্লাহর বাড়িতে কেউ যেত না। শুধু মাঝেমধ্যে অচেনা কিছু লোক মোটরসাইকেলে করে আসা-যাওয়া করত।
প্রতিবেশী শিরিনা খাতুন জানান, আব্দুল্লাহর স্ত্রী ফাতেমা ওরফে রুবিনা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। মুখ সব সময় কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতেন।
ব্রিফিংয়ে খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।