শুমায়লার পরিবারের ভাষ্য, বিয়ের সময় তাঁরা আজমকে তিন লাখ রুপি পণ দেয়। বিয়ের পর বাবার বাড়ি থেকে আরও পণ আনতে শুমায়লাকে চাপ দেয় আজমের পরিবার। একপর্যায়ে শুরু হয় নির্যাতন। একবার শুমায়লাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালানো হয়।
ইতিমধ্যে শুমায়লা সন্তানসম্ভবা হয়েছেন। তাঁর পরিবার বলছে, গর্ভধারণের পর আজমের পরিবার থেকে ঘোষণা করা হয়, পুত্রসন্তান না হলে শুমায়লার কপালে দুঃখ আছে।
শুমায়লার গর্ভধারণের আট মাসের সময় পরীক্ষায় জানা যায়, কন্যাসন্তান আসছে।
শুমায়লার পরিবারের ভাষ্য, কন্যাসন্তান আসছে—জানার পর শুমায়লার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচার বেড়ে যায়। তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাবা-মা শুমায়লাকে ফের শ্বশুরবাড়িতে রেখে যান। শুমায়লা কন্যাসন্তান জন্ম দিলে তাঁর ওপর নির্যাতন বাড়ে। একপর্যায়ে সন্তানসহ বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। সম্প্রতি আজম টেলিফোনের মাধ্যমে শুমায়লাকে তিন তালাক দেন।