Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

18খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭: প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যায় শরীর। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রোজ টক দই খেলে নিমিষেই হাওয়া হয়ে যাবে শরীররের হাজারটা সমস্যা! এমনকি টক দই আপনাকে দিতে পারে দীর্ঘায়ু।

শরীর-মন ফিট রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন টক দই। খাদ্যগুণ বিবেচনায় টক দইকে বলা হয় ‘অলরাউন্ডার’। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২ কী নেই টক দইয়ে?
আসুন জেনে নেয়া যাক, টক দইয়ের কিছু কার্যকরী গুণাগুণ:

টক দই নিয়মিত খেলে শরীর-মন চাঙা
হজম সহায়ক

খাদ্যনালী বা অন্ত্রের মধ্যে থাকে মাইক্রোফ্লরা যা হজমে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকে হিতকর ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের মাইক্রোফ্লরাকে ভাল রাখে, ফলে হজম ভালো হয়।

গ্যাসটিক থেকে মুক্তি

ভাজা পোড়া ও বিভিন্ন জাঙ্কফুড গ্রহণের কারণে অনেকেই গ্যাসট্রিক ও পেটের নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। টক দই এই ক্ষেত্রে কার্যত ওষুধের মতো কাজ করে।

ক্যান্সার রোধ করে

৪৫ হাজার জনের ওপর চালানো একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দইয়ের মধ্যে যে হেলদি ব্যাক্টেরিয়া আর প্রোবায়োটিকস থাকে, কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোধে তা সাহায্য করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যান্সারে এটি প্রকাশিত হয়েছে।

হাড় শক্ত করে

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ে যায়। দুর্বল হয় হাড়ের গ্রন্থি। নিউইয়র্কের প্রখ্যাত হাড় বিশেষজ্ঞ জেরি নাইভস এর মতে, দইয়ের মধ্যে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দুই-ই থাকায়, টক দই অস্টিওপোরোসিস রোধে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ডায়াবেটিসে ওজন বৃদ্ধি পায়। এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। টক দই শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট পুড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ওজন কমিয়ে বডি ফিট রাখতে সাহায্য করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি খাদ্যনালীতে কোষ উৎপাদনেও বড় ভূমিকা নেয় প্রোবায়োটিকস।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

৮ আউন্স দইয়ে ৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, দইয়ের পটাসিয়াম, সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে, ঠিক থাকে স্নায়ুতন্ত্রও।

কোলেস্টেরল কমায়

দইয়ে থাকে ল্যাক্টোবেসিলাস, অ্যাসিডোফিলাসের মতো বিভিন্ন প্রোবায়োটিকস যা শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। হজম ভালো হলে মন ভালো থাকে। অন্ত্রের সঙ্গে তাই মনের নিবিড় সম্পর্ক। টক দই অন্ত্রকে যেভাবে নানা দিক থেকে সুরক্ষিত রাখে, তাতে ভালো হজম আর ভালো মুড-দুটোই মেলে।

পার্কিনসনস, অ্যালঝেইমার্স ও অটিজমে

পার্কিনসনস, অ্যালঝেইমার্স, অটিজমের মতো রোগের ক্ষেত্রে টক দইয়ের উপকারিতা অনেক। ক্রনিক ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে দই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রের খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে ভালো ব্যাক্টেরিয়ারও মৃত্যু হয়। তাদের মতে, ওষুধ না খেয়ে দই খান। এতে বহু রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

আরও অনেক রোগে উপকারী

কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, ল্যাক্টোস সমস্যায়, টক দই খুব ভালো কাজ করে।