খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭: ছুটির তালিকা সংশোধন, জাতীয় দিবসগুলোকে কর্মদিবস হিসেবে ঘোষণা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ৩ বছর পর পর পাওয়া ও প্রধান শিক্ষকদের হাতে পূর্বের মতো সংরক্ষিত ছুটি ন্যস্ত করার দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরামের ডাকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩ মার্চ আধাঘন্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালন শেষে ২৭ এপ্রিল ১ ঘন্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আজ ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরামে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (উত্তর মানিকদিয়া, সবুজবাগ, ঢাকা)’য় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির এক সভা সংগঠনের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গোলাম মোস্তফা, এম এ ছিদ্দিক মিয়া, আ.ফ.ম তোহা পাটোয়ারী, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ আগামীকাল ২৭ এপ্রিলের ১ ঘন্টা কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নেতৃবৃন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১ম সাময়িক পরীক্ষা বিঘœ হবে বিধায় এ কর্মসূচি স্থগিত করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতিসহ ছুটির তালিকা শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের অধিকার হরণের সকল শিক্ষক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সংগঠনের আলাদা কর্মসূচি সফলতার পরিবর্তে শিক্ষকদের মাঝে নেতৃত্বের প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করবে। প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরাম সকল শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ছুটির তালিকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীর অধিকার বেতন বৈষম্য পদোন্নতির অধিকার তৃণমূলে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক অভিভাবক সমিতি, অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ উঠান বৈঠকসহ সকল পর্যায়ে অধিকার হরণের যৌক্তিকতা তুলে ধরার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন ছুটির তালিকা সংশোধনে কোন আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারি কর্মচারীরা ৩ বছর পর পর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও ১৫ দিনের ছুটি পান। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছুটিবিহীন শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ভোগ করে ৪-৫ বছর পরপর। তাদের ছুটি দেখানো হয় রমজান মাসের ছুটি থেকে। আরবি বছর ৩৫৫ দিনে হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ভাগ্যে যথাসময়ে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা জুটে না। ৩ বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য, জাতীয় দিবসের ছুটি গ্রীষ্মের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ১৫ দিন রাখার দাবি করছি আমরা। বিগত বছরগুলোতে প্রধান শিক্ষকের হাতে সংরক্ষিত ছুটি থাকতো। এ বছর মাত্র একদিন তাও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদন নেওয়ার শর্ত জুড়ে ছুটি অকার্যকর করে দিয়েছে। পূর্বের মত প্রধান শিক্ষকের হাতে মাত্র ৩ দিন ছুটি রাখার যৌক্তিক দাবি করছি আমরা। বাস্তবতার নিরিখে ছুটির তালিকা সংশোধন বিলম্ব করে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করা হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন। নেতৃবৃন্দ সময়ক্ষেপণ না করে ছুটি তালিকা সংশোধনে করার দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।