খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭: আদর্শ রাজনীতিবিদদের থাকে মানব কল্যাণমুখী একটি রাজনৈতিক আদর্শ। বাংলার মুসলিম রাজনীতিবিদদের মাঝে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন মুসলিম স্বার্থরক্ষা ও সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দাতাদের শীর্ষে বলে অভিমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মুসলিম রাজনীতির সন্ধিক্ষণে বাংলার রাজনীতিক মঞ্চে এ কে ফজলুল হকের প্রবেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। বাংলার কৃষক-শ্রমিক ও গণমানুষের সঙ্গে তার নিবীড় সম্পর্ক ছিল।
বুধবার শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলার রাজনীতিতে তিনি নতুন প্রগতিশীল ধারার সূচনা করেছিলেন। কৃষক প্রজার ন্যায় অধিকার আদায়ও তার রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।
তারা বলেন, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন ছিলেন জন-মানুষের বিশ্বস্থ প্রতিনিধি। সে জন্য তার রাজনীতি ও কর্মকান্ড প্রচলিত নবাব নাইট হতে স্বতন্ত্র ও ব্যতিক্রমধর্মী ছিল। প্রায় অর্ধ শতাব্দী তিনি ছিলেন বাংলার রাজনীতির মুকুটহীন সম্রাট ও মধ্যমণি। ফজলুল হক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ঊর্ধ্বে ছিলেন। কিন্তু বঙ্গভঙ্গ রদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্তে মুসলমানদের মতামতের প্রতি অশ্রদ্ধা ও তাচ্ছিল্য তাকে মর্মাহত করে। ফজলুল হক আইন পরিষদে প্রবেশ করেই তার প্রথম বক্তৃতায় অত্যন্ত জোরালো ভাষায় সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মুসলমানদের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, শেরে বাংলার নেতৃত্বে বাংলার মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার জোয়ার আসে। বাংলার মুসলিম মধ্যবিত্ত ও তাদের আত্মপ্রতিষ্ঠার পেছনে ফজলুল হকের অবদান সবচেয়ে বেশি।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় মরহুম শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।