Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

57খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭: গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে কোনও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশ একদিকে যেমন নদীমাতৃক, অন্য দিকে রয়েছে বিশাল সমুদ্র। কাজেই এই সমুদ্রকে ব্যবহার করা এবং এর মাধ্যমেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরও কার্যকর করার বিরাট সুযোগ আমাদের হাতে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আঞ্চলিকভাবে গড়ে তুলেছি। ফলে আমাদের যে প্রতিবেশী দেশগুলো আছে, তাদেরও এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ আছে। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারত, নেপাল, ভুটান-এই দেশগুলো যাতে বন্দর ব্যবহার করতে পারে, আমরা সে সুযোগ করে দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পোর্ট এক্সপো উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এসব কমর্সূচির উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থান থেকে আমাদের অবস্থান এমন একটা জায়গায়, এই জায়গায় থেকে বাংলাদেশ হচ্ছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের সেতুবন্ধন। বন্দরকে আরও আধুনিক করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণে সব ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। বন্দরের কার্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকের উদ্যোগের মধ্যদিয়ে বন্দরের সুনাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হবে। বন্দরের সুনাম যেন অক্ষত থাকে, সে দিকে সব সময় দৃষ্টি দিতে হবে। ’

একাত্তর সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র আনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন জাহাজে করে অস্ত্র নিয়ে আসছিল।বন্দরের শ্রমিকরা এতে বাধা দেয়। তখন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রায় ২৩ জন শ্রমিক প্রাণ দিয়েছিলেন।ওই সোয়াত জাহাজ থেকেই অস্ত্র নামাতে যায় জিয়াউর রহমান। তাকে পথেই বাধা দিয়েছিল সাধারণ জনগণ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সংগ্রাম পরিষদের নেতারা, যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘চট্টগ্রাম বন্দর স্বাধীনতার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় মাইন পোতা ছিল। মিত্রশক্তি রাশিয়া এসে এই বন্দরকে মাইনমুক্ত করে দেয়।’

এর আগে ভিডিও কনফারেন্সে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।