Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

red cardখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৭: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন বলে অভিমত প্রকাশ করে ২০ দলীয় জোট নেতা ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দেশএবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় শেরে বাংলার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

 

তিনি বলেন, এদেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।

 

নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী টিটো, সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার রহমান শিকদার, জিএম সাহেব আলী, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জাতীয় ছাত্রকেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

 

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলার ধূলো-মাটি ছিল যাঁর গৌরব, বাংলার মানুষের জন্যে অসীম ভালবাসা ছিল যাঁর প্রাণের সৌরভ, বাংলার মানুষের সেবার জন্যে আজীবন সংগ্রাম ছিল যাঁর জীবনের লক্ষ্য, নীতির প্রশ্নে যিনি ছিলেন আপোষহীন, তিনি হচ্ছেন আমাদের শের-এ-বাংলাএ. কে. ফজলুল হক। বাঙালী জাতির গর্বের উৎস এবং কেন্দ্র আমাদের শের-এ-বাংলা।

 

তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে ত্যাগ তিতিক্ষার দ্বারা বাঙালিদের জীবনেরসর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে জ্ঞান ও কর্ম সাধনার যে আদর্শ তিনি স্থাপন করেগেছেন, তা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

 

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার বাঘ ছিলেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষেরআর্থ সামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

 

তিনি বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার আদর্শ যদি আমরা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে পারতাম তাহলে জাতি হিসেবে আজ অনেক দূর এগুতে পারতাম।

 

মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ঋণসালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এদেশের কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকেউদ্ধার করতে সামর্থ্য হয়েছিলেন। প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ভূমির ওপর এদেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন।

 

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, বাঙ্গালি মুসলিম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে শেরে বাংলা জাতির কাছেচিরস্মরণীয়। জাতি হিসেবে আমরা যে সবাই বাঙালি এই ঐতিহাসিক সত্যের মূলভিত্তি তিনিই রচনা করেছিলেন।

 

মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বলেছেন, শেরে বাংলা আমৃত্যু ছিলেন শোষিত ও বঞ্চিত জনগণের অতি আপনজন। একমাত্র প্রেসিডেন্টের পদটি ছাড়া সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণপদ ছিল না, যা তিনি কোনো এক সময় অলঙ্কৃত করেননি। এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন শেরে বাংলা।