Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

28kখােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭: উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদান, দেশের সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে কর্মস্থলের সুযোগ প্রদানসহ ৪ দফা দাবী আদায়ে বিগত শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে নোয়াখালী সহ সারা দেশে ম্যাটস্ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নোয়াখালী ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন জেলা শাখার উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি ও নোয়াখালী ম্যাটস্’র ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরএইচ রিফাত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ দাউদুল ইসলাম শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহিনুর ইসলাম সৈকত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হুমায়ারা নাছরিন প্রমূখ। এতে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে যৌক্তিক বিষয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন তাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে নোয়াখালী সহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে আহত করেন এবং ২০জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী ম্যাটস্ ক্যাম্পাস থেকে মৌন মিছিল বের করে শান্তিপূর্ণভাবে জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সামনে এসে মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় জেলা প্রশাসক তাদের ৪জন ছাত্রকে ডেকে নিয়ে নাম, ঠিকানা লিখেন এবং তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকি দেন। এতে শিক্ষার্থীরা এর যথাযত যৌক্তিক কারণ জানতে চাইলে হঠাৎ বিনা উস্কানিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়ে লাঠিচার্জ করে। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ধাওয়ায় যখন তাদের ক্যাম্পাসের দিকে ফিরে যাচ্ছিল তখন পলিশ তাদের কে বেপরোয়াভাবে মারধর করে। এসময় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পুলিশের হাত থেকে লাঠি নিয়ে নির্দয়ভাবে শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন। এমনকি মিজানুর রহমান ছাত্রীদের গায়েও হাত দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। হামলা করতে করতে মিজানুর রহমান পুলিশের সাথে নোয়াখালী ম্যাটস্ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের গালমন্দ করে শারীরিক লাঞ্চিত করেন। পুলিশ ও মিজানুর রহমানের যৌথ হামলায় প্রায় ২০জন শিক্ষার্থীও আহত হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করা হয়।