খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭: জেসিকা চাকমা, রাঙ্গামাটি : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হয়েছে। চলতি প্রজনন মৌসুমে হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও উৎপাদন বাড়াতে নিষেধাজ্ঞাটি জারি করে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি প্রজনন মৌসুমে হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হ্রদে ছাড়া হবে কার্পজাতীয় মাছের পোনা।
তিনি বলেন, মাছ ধরা বন্ধকালীন জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হবে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদেশ কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মৎস্য কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) পাশাপাশি নৌ-পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
জেলা প্রশাসন জানায়, পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২মে মধ্যরাত থেকে তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ আদেশ কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মৎস্য কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) পাশাপাশি নৌ পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া হ্রদের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবেন। অঢিযানে অবৈধ মাছ শিকারের দায়ে কোনো জাল আটক করা হলে সেগুলো নিলামে না দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
সূত্র জানায়, বন্ধ সময়ে হ্রদে কারেন্ট জাল, কাথা জাল, বেড়া জাল, মশারি জাল এবং ফাঁস জালসহ কোনো কিছু দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে রাঙ্গামাটি ফিশারিঘাট, জেলা পরিষদঘাট, লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, ডিসি বাংলোঘাটসহ সুবিধাজনক জায়গায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হবে। হ্রদ এলাকার ছয়টি মৎস্য অভয়াশ্রমে সব মৌসুমে মাছ শিকার ও আহরণ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালে জেলে পরিবারদের সহায়তায় ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণ করা হবে।