Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১ মে, ২০১৭: জুলাই থেকেই নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের বিরোধিতায় ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের হুমকির প্রেক্ষাপটে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।

রোববার এক বিবৃতিতে এনবিআর বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ এখনও ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট দিচ্ছে। আদায় করা সেই কর যেন ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেন, তা নিশ্চিত ও সহজ করবে নতুন আইন।

ব্যবসায়ীদের ‘সম্মানিত ভ্যাট ট্রাস্টি’ হিসেবে বর্ণনা করে এনবিআর বলেছে, জনগণ যে অর্থ ভ্যাট হিসেবে তাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে দেয়, সেই টাকার ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন ব্যবসায়ীরা।

“যারা ভ্যাট আদায় করেন, অথচ ভোক্তাকে চালান দিতে চান না, দাখিলপত্রের মাধ্যমে আদায়কৃত টাকার হিসাবও দিতে চান না, অনুগ্রহ করে তাদের প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”

যারা “জনগণের প্রদত্ত অর্থ আত্মসাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন”, তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনবিআর বলেছে, “আসুন ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিলে আগামী ১লা জুলাই থেকে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করি।”

২০১২ সালের এই ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’ কার্যকর করার কথা ছিল গত বছরের ১ জুলাই থেকে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে তা পিছিয়ে দেয় সরকার।

তখন বিদ্যমান প্যাকেজ ভ্যাটের হার বাড়িয়ে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নেওয়া হবে।

ব্যবসায়ীরা চান, আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করের এই হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে রাখা হোক।

এছাড়া প্যাকেজ ভ্যাট ব্যবস্থা বাতিল, ভ্যাট নিবন্ধন পদ্ধতি এবং বার্ষিক টার্নওভার অনুযায়ী করসীমা নিয়েও ব্যবসায়ীদের আপত্তি আছে।

এ নিয়ে গত দুই মাসে ব্যবসায়ীরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করলেও সরকারের অবস্থানের নড়চড় হয়নি। বরং রোববার নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক সভায় এক ব্যবসায়ী আন্দোলনের হুমকি দিলে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

এনবিআরের ব্যাখ্যায় বলা হয়, নতুন আইনে মৌলিক চাহিদা, জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় (খাদ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গণপরিবহন সেবা, গণস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, কৃষি, মাছ চাষ, অলাভজনক সাংস্কৃতিক সেবা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অবাণিজ্যিক কার্যক্রম) ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ তা থেকে উপকৃত হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা তথ্যভিত্তিক নয়।

“তারা ভ্যাটের রেয়াত ব্যবস্থাকে বিবেচনা না করেই এমনটি বলছেন।… প্রকৃত অবস্থা হল, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হলে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত মোট করভার অনেকাংশে হ্রাস পাবে।”