Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

18302205_10209588241246981_1102139255_n

খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুটি পদের অন্তত একটি পদ চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতারা। তাদের অনেকেই বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে বরাবরের মতো এবারও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। ছাত্রদলকেও ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে শীর্ষ দুটি পদের অন্তত একটি পদ চায় জবি ছাত্রদলের বর্তমান এবং প্রাক্তন নেতারা। কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে চান যারা তাদের আলোচনায় আছেন- কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আশরাফ মামুন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং বর্তমান জবি ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের ১৫৩ সদস্যবিশিষ্ট (আংশিক) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। তখন আরো ঘোষণা দেওয়া হয়, ২০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। কিন্তু পরে মোট ৭৩৬ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে দাবি উঠে কোণঠাসা ও বুড়োদের সংগঠনে পরিণত হওয়া ছাত্রদলে নবীনদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার। এদিকে নতুন কমিটি গঠনের আলাপ-আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও পছন্দসই পদ পেতে ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। শীর্ষ দুই পদ দখলে নিতে বর্তমান কমিটির কয়েক সারির নেতাদের লড়াই যেমন চলছে, তেমনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পদের জন্য জুনিয়র নেতারাও ছুটছেন নিজ নিজ বলয়ে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুটি পদের দৌড়ে এবার পদপ্রত্যাশী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্তমান এবং প্রাক্তন নেতারা। যারা বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন। বিগত সময়ে পুরনো ঢাকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল সরকারবিরোধী সব আন্দোলেনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এলেও শীর্ষপদ না পাওয়ার কারণেই হতাশ তারা। জেল জুলুমের শিকার বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফ আল মামুন অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুপার ফাইভ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগের কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি গত ৪ বছরে প্রায় ৫ দফায় ১৫ মাস জেলে ছিলেন। এ ছাড়া বর্তমানে তার নামে ৩০ এর অধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। জবি ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই তারেক রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কটূক্তির প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথ হামলা চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ সময় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন এবং পরে তার কার্যালয়ে দেখা করেছিলেন সিরাজ। এ ছাড়া তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন তিনি। একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। জবি ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছেন। দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সরকারের আমলে ছাত্রদল মহড়া না দিতে পারলেও রফিকের নেতৃত্বে জবি ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়েছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ৮ বারে প্রায় ১৮ মাস কারাবরণ করেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন বলেন, বরাবরই ছাত্র রাজনীতি এমনকি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সবকিছুতেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে এ গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের নেতা-কর্মীরা। তিনি আরো বলেন, কর্মীবান্ধব কমিটি সবার প্রত্যাশা। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হলে এবং ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিলে দেশের ক্রান্তিকালে ছাত্রদল রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখবে।