খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড় ও অতি বর্ষনে বোরো ধান, ভুট্রা ও আমনসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ফলে এলাকার চাষীরা ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন।
সড়েজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে গত টানা দুই দিনের প্রচন্ড ঝড় ও অতিবর্ষনে কাটার উপযুক্ত বোরো ধান হেলে মাটির সাথে শুয়ে পড়ায় কৃষকদের মুখে হতাশার চিহ্ন ফুটে উঠেছে। অপর দিকে কাল বৈশাখী ঝড়ে এলাকার রবি ফসল ভুট্টা, পেঁপে, আম, লিচু ও কলাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার শুভগাছা গ্রামের কৃষক আয়োব বলেন, এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেন, বর্তমানে তার জমিতে ধান পাকা অবস্থায় ছিল হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ের কারনে জমির ধান মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে এতে বোরো ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে। উপজেলার কাফুড়া গ্রামের ভুট্রা ব্যবসায়ী গিয়াস মন্ডল বলেন, গত কয়েক দিনের মেঘাচ্ছন্ন আবহওয়া কারনে পাক ভুট্রা ঘরে তুলতে পারেননি আবার হঠাৎ কালবৈশাখী ঝরে পাকা ভুট্রাসহ গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে উপজেলার প্রায় অর্ধেক চাষির ভুট্রাক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে ভুট্টার ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আমরা চাষীদের বড় ধনরনের লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর ইসলাম বলেন এ বছরে বৈরী আবহাওয়ার কারনে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে রযেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে ধান ও ভুট্রাসহ রবি ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আবহাওয়া ভাল হলে কৃষকেরা ফসল ভালভাবে ঘড়ে তুলতে পারলে বড় ধরনের লাভের মুখ দেখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে কালবৈশাখি ঝড়ে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় এ বছর বোর ধানের উৎপাদন ২০ হাজার ১৫০ লক্ষ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ছে। অর্জিত ২০ হাজার ৫৫০ লক্ষ হেক্টর ও ভুট্রা উৎপাদন ২৫০০ লক্ষ হেক্টর লক্ষমাত্রা নিধারণ কর হলেও অর্জিত ২৬৫০ লক্ষ হেক্টর।
শেরর্পু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, বোরো ধান মাটিতে হেলে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতি হবে। কৃষি কর্মকর্তাকে ক্ষতি নির্ধারন করতে বলা হয়েছে।