খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৭ মে, ২০১৭: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী সহিদ উল্লাহ (৩০) কে জবাই করে হত্যার পর বিশ প্রাণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে স্ত্রী শরিফা খাতুন।
রোববার (০৭ মে) ভোর রাতে উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সহিদ উল্লাহ মধ্যম বাগ্যা গ্রামের ২৯ নং কলোনীর শাহ আলমের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে দুই সন্তানের জনক সহিদ ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুনে মধ্যে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। রোববার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী সহিদকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে স্ত্রী শরিফা। স্বামীকে হত্যার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিমাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সহিদকে জবাই করে হত্যা করার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী শরিফা। শরিফাকে আটকের পর তাকে পুশিল পাহারায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহত সহিদের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছেলে ইয়াসিনের লাঠির আঘাতে বাবা বেলায়েত হোসেন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে।
শনিবার (০৬ মে) রাত ৯টার ওই উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের খাজুরতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের গ্রামের বাড়ি নরোত্তমপুর ইউনিয়নের খাজুরতলা নামক স্থানের মৌলভী বাড়ি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, র্দীর্ঘ দিন যাবত উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের খাজুরতলা নামক স্থানের পান ব্যাপারী বেলায়েত হোসেনের সাথে তার ছেলে ইয়াসিনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। শনিবার রাতে ওই কলহকে কেন্দ্র করে বাবা এবং ছেলের মধ্যে বাকবিন্ডার এক পর্যায়ে ছেলে ইয়াসিন তার বাবা বেলায়েত হোসেনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজিদুর রহমান নিহত বেলায়েত হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।