Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭: কুমিল্লার লাকসাম খাদ্যগুদামে এবার বড় ইঁদুরে খেয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকার ১৮’শ মেঃ টন খাদ্যশষ্য। স¤প্রতি এ মহাকেলেংকারী ফাঁসে খাদ্য বিভাগসহ এলাকার জনমনে চলছে তোলপাড়। সাবেক গুদাম কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। বিভাগীয় আভ্যন্তরীন নিরীক্ষাসহ নানাহ গণ মাধ্যমে উঠে এসেছে স্মরণকালের ভয়াবহ এ মহাদূর্নীতির চিত্র।

১২/০৭/২০১৫ থেকে ২২/০৬/২০১৬ পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার কর্মস্থলে দায়িত্বপালনকালে ১৭টি চালানের বিপরীতে ২৫০.৪৩৭ মেঃ টন গম ও ৩৬টি চালানের বিপরীতে ৫৭৪.৩১৩ মেঃ টন চাল কেলেংকারী ঘটনা ঘটে। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের রেকর্ড অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে পৃথক পৃথক চালানের মাধ্যমে ৮২৪.৭৫০ মেঃ টন খাদ্যশষ্য এ গুদামে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা উল্লেখিত খাদ্যশষ্যগুলো গুদামে মওজুদ না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছে বলে নিজের স্বীকারোক্তিসহ নানাহ তদন্ত রিপোর্টে সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই কর্মকর্তা বিভিন্ন নামে আড়াই কোটি টাকার ব্যাংকিং চেকপ্রদানসহ নানাহ ভাবে বিষয়টি সমাঝোতার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় ওইসময়ে কর্মরত অত্র বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় একটি বিশেষ মহলের জড়িত থাকার আশংকা করছেন কেউ কেউ।

ওই কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ১১/০১/২০১৪ সালে লাকসাম খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ০৫/১০/২০১৬ পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসাবে বদলী হলেও রহস্যজনক কারনে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে এ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবেই বেশ ক’দিন থেকে যান। অবশেষে ওই গুদামের নতুন কর্মকর্তা এনামুল হক যোগদান করার পরপরই সাবেক ওই কর্মকর্তার নানাহ কেলেংকারীসহ মহা দূর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসে। শুরু হয় খাদ্য বিভাগসহ এলাকার জনমনে তোলপাড়। যা স্থানীয় থানায় মামলাসহ বিভাগীয় নিরীক্ষা ও তদন্তে বিদ্যমান। এর সাথে বেরিয়ে আসে ২৫’শ খালি বস্তা বিক্রির সমূদয় অর্থ এবং চালানপত্র, খামাল কার্ড ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিদর্শন বহিসহ নানাহ দূর্নীতি চিত্র। এছাড়া তার অতীত কর্মস্থলগুলোতেও এ ধরনের দূর্নীতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন নানাহ সংস্থা।

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিক খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালাউদ্দিন আহমদকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক ভূঁইয়া সেলিম বাদী হয়ে গত ১৮/০৪/২০১৭ তারিখে লাকসাম থানায় একটি মামলা, বিভাগীয় আভ্যন্তরিন নিরীক্ষাসহ জেলা দূর্নীতি দমন সংস্থা ব্যাপারটি দেখভাল করছেন বিধায় সংশ্লিষ্ট কেহই মুখ খুলতে এবং এমনকি তথ্য উপাত্ত দিয়ে স্থানীয় মিডিয়াকর্মীদের সাথে কথাবার্তা বলতেও নারাজ।

এ ব্যাপারে জেলা- উপজেলা খাদ্য দপ্তর কিংবা সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তাই মুখ খুলতে চাচ্ছে না কারন থানায় মামলা, দাপ্তরিক তদন্ত কমিটি ও জেলা দুদক বিষয়টি দেখাশুনা করছেন বলে আপাতত এ নিয়ে কোন কথা বার্তা না বলাই ভালো। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ওই গুদাম কর্মকর্তা মহিউদ্দিন পলাতক এবং ব্যবহার করা মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।