খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭: রাঙ্গামাটির গণডাকাতি ঘটনায় এ পর্যন্ত সর্দারসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সর্দার নিউটন চাকমাকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ মে রাতে তার নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি সদরের সাপছড়ির ডেপ্পোছড়ি এলাকায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে অস্ত্রের মুখে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে দুর্ধর্ষ গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ডাকাত সর্দার নিউটন চাকমাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় পুলিশ।
রাঙ্গামাটি কোতায়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রশীদ বলেন, গ্রেফতারকৃত নিউটন চাকমা সদরের মগবান ইউনিয়নের গবাঘোনা এলাকার বাসিন্দা সোনাধন চাকমার ছেলে। গ্রেফতারকৃত তিনজনেই পেশাদার ডাকাত এবং ৩ মে গণডাকাতির ঘটনায় তারা জড়িত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে এবং তারা প্রত্যেকেই জেলখাটা ও বিভিন্ন মামলায় জামিনে থাকা আসামি। নিউটন চাকমা এর আগে আট বছর জেলে ছিল। অপর দুই আসামিও দফায় দফায় জেলে আটক ছিল। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার সম্ভব হবে বলে আশা করছি আমরা।
ওসি বলেন, আদালতের নির্দেশে এর আগে আটক রমেশ ত্রিপুরা ও কালাধন চাকমাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার নিউটন চাকমাকে রাঙ্গামাটির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এতে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, আদালত।
এদিকে আদালতে চালান দেয়ার আগে মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানায় মিডিয়াকর্মীদের সামনে হাজির করা হয় নিউটনকে। ওই গণডাকাতির ঘটনায় এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অনেকগুলো লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ উল্ল্যাহ।
এএসপি শহিদ উল্ল্যাহ বলেন, ওই গণডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রের মুখে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা ও মালবাহী ট্রাকসহ প্রায় ১০-১২টি গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও চালক-শ্রমিকদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ বিপুল মালামাল লুট করে ডাতাতরা। ঘটনার পরদিন ৪ মে রাঙ্গামাটি ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাদী হয়ে কয়েক আসামির নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ৫ মে রাতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সাপছড়ি এলাকা থেকে রমেশ ত্রিপুরা নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। এরপর কয়েক দফায় অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনী। এতে শনিবার রাতে সদরের মানিকছড়ি এলাকা হতে আটক করা হয় কালাধন চাকমা নামে আরেক ডাকাতকে।