খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭: খুনের মামলার আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খানকে কারাগারে ফেরত পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসকেরা ছাড়পত্র দেওয়ার পর সরকারদলীয় এই সাংসদকে বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
টাঙ্গাইলের এই সাংসদ কারাগারে না থেকে তিন মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ভিআইপি কেবিনে ছিলেন।
এর আগে ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিন হুদাকে বারডেম হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
সাংসদকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ছাড়পত্র দেন। এরপর বিকেলে উপকারাধ্যক্ষের নেতৃত্বে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষীরা তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যান।
হাসপাতাল ও কারা সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোতে ‘হাসপাতালে বসেই রাজনীতি করছেন আমানুর’ শীর্ষক খবর ছাপা হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নিতে তোড়জোড় শুরু করে। কারা কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে ফেরত চান। এরপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারাধ্যক্ষ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান দেখা করেন। পরে হাসপাতালের পরিচালক সাংসদ আমানুরকে তত্ত্বাবধানকারী ইউরোলজি বিভাগের প্রধান মো. আমানুর রহমান ও জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এ জন্য সাংসদের হাসপাতালে থাকার দরকার নেই। এরপর সম্মিলিতভাবে সবাই তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক আমানুর রসুল প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ আমানুরের আপাতত কোনো সমস্যা না থাকায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর মেডিকেল সংবাদদাতা বিকেল পাঁচটার দিকে ৪৯ নম্বর কেবিনে গিয়ে দেখেন, পুলিশের নিরাপত্তায় কারারক্ষীরা আমানুরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে বন্দী ছিলেন। টাঙ্গাইল কারা কর্তৃপক্ষ সাংসদ আমানুরের ‘ইউরোলজিক্যাল’ সমস্যা রয়েছে বলে নথিতে উল্লেখ করেছে। ঢাকা মেডিকেলের ভিআইপি কেবিনে বসেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত সভা ও রাজনৈতিক শলাপরামর্শ করে আসছিলেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় এই সাংসদ।