Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

72খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭: রাষ্ট্রের দুটি অঙ্গ যখন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তখন বিচার বিভাগ নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা।

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে বিচারিক স্বাধীনতা শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, আইন ও নির্বাহী বিভাগের কাজের উপর আদালত বিচারিক পর্যালোচনার মাধ্যমে এবং কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষকের (ওয়াচডগ) দায়িত্ব পালন করছে। সাংবিধানিক পদ্ধতির অধীনে স্বাধীন বিচার বিভাগ এ দায়িত্ব পালন করে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের ভূমিকা সঠিকভাবে অঙ্কন করার মাধ্যমে সংবিধানকে সমুন্নত রাখা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান দায়িত্ব।

তিনি বলেন, যখন রাষ্ট্রের দুইটি অঙ্গ তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয় তখন বিচার বিভাগ নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। আইনের সীমার মধ্যে থেকে সুপ্রিম কোর্ট সবসময় সংবিধানের অন্যতম অভিভাবক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারিক স্বাধীনতা মানে কোনো ধরনের প্রভাব বা হস্তক্ষেপ ছাড়া বিচারকের ক্ষমতা প্রয়োগ করা। বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতার মূল ও ঐতিহ্যগত অর্থ হলো- সরকারের রাজনৈতিক শাখাগুলো থেকে বিশেষত নির্বাহী সরকার থেকে বিচারকদের সামষ্টিক ও স্বতন্ত্র স্বাধীনতা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণা কোনো শস্যভাণ্ডারের মত নয় যা শুধু বিচারকদের উপর নির্ভর করে। এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা আইনি কাঠামোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে বিচার বিভাগকে কাজ করতে হয়। এতে সরকারের সমর্থন এবং রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।

ব্যক্তিগতভাবে একজন বিচারকের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার উপাদানগুলো হলো, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, পারিপার্শ্বিক স্বাধীনতা এবং অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা বলে জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বিচার বিভাগের চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে অবকাঠামোগত স্বাধীনতা, জুডিশিয়ারিতে আইসিটির বিচাররিক দ্বায়বদ্ধতা, বিচারপ্রাপ্তির সহজ লভ্যতা, সচেতনতা, শক্তিশালী সুশীল সমাজ, আইনজীবী সমিতি ও বেঞ্চের (আদালত) সুসম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অভাব।

কমনওয়েলথ দেশের সরকাররা কমনওয়েলথ লিগ্যাল রিচার্স জুডিশিয়াল একাডেমি স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। যেখানে সবাই তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাস সম্পর্কিত এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মামলার বিষয়েও আলাপ আলোচনা করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট রয় রিনাউডে, ইংল্যান্ডের বিচারক শামীম কোরাইশী, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের আইন উপদেষ্টা মার্ক গোথর।