খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১০ মে, ২০১৭: এলাকার নাম সাহেব বাড়ী ঘাট। বাঙ্গালী নদীর এই ঘাটের পাশ দিয়ে জন সাধারনের চলাচলের রাস্তার পাশাপাশি ঈদগাহ মাঠ ও জনবসতি ছিল। কিন্ত বাঙ্গালী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে এখন রাস্তা, ঈদগাহ মাঠ ও বাড়ী ঘড় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাবাসি দির্ঘদিন যাবত সেখানে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধের দাবী করে আসছিল কিন্ত পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে বাধ তৈরী না হওয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সময় নানা আতংকের মাঝে দিনযাপন করে। এরই মধ্যে আবার সেখানে মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। ফলে নদীর পাড়ের উপর বাড়ী করে থাকা লোকজন বাড়ীর ভিটা হারানোর ভয়ে রয়েছেন।
বগুড়ার শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুরের সাহেরবাড়ীতে বাঙ্গালী নদীতে আওলাকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বন্যা আসার আগেই নদীতে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিবে। কেননা ওই স্থানে প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন দেখা দেয়। বর্তমানে ভাঙ্গনের ফলে যে অবস্থায় পৌছে গেছে এবার নদীতে পানি বৃদ্ধির পেয়ে তলিয়ে গেলে শেরপুরের মির্জাপুর, সীমাবাড়ী ইউপি ও বিশালপুর, ভবানীপুর, সুঘাটের একাংশ এবং তাড়াশ, রায়গঞ্জ থানা সহ সিরাজগঞ্জের বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে হাজার হাজার একর জমির ফসল সহ ঘর বাড়ী নষ্ট হবে।
শুকনো মৌসুমে বাঁধের কোন সংস্কার কাজ না করায় এমনিতেই হুমকির মুখে রয়েছে এলাকার লোকজন, তার উপর আবার অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন এ যেন মরার উপর খরার ঘা।
অপরদিকে বিনোদপুর এলাকার আব্দুল গফুর, রেজাউল মাষ্টার জানান, এতদিন বাঁধটি রক্ষার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা তদবির চলেছে। গতবারের ভাঙ্গনের ফলে বাঁধের পুরোপুরিই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ঈদগাহ মাঠ সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এবার বাঁধটি রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় উল্টো বালু তোলার ফলে হাজার হাজার একর জমির ফসলও তলিয়ে যাবে। অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন কারী রফিকুল ইসলাম জানান, তাকে বিনোদপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম ভাড়া করে নিয়ে এসে এখানে বালুর ব্যবসা করছেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ভ’মি মোছাঃ মোর্শেদা খাতুন বলেন, বিষয়টি কেউ জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর ওই ইউনিয়নের নায়েবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।