খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১০ মে, ২০১৭: নতুন মা হতে যাচ্ছেন, এমন নারীরা কি নিজের হৃৎস্বাস্থ্য সম্পর্কে জানেন? গর্ভধারণকালীন বা সন্তান প্রসবের সময় অনেক নারীই কিন্তু হৃদ্রোগজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হন। অনেকের করুণ মৃত্যুও ঘটে।
গর্ভকালীন সময়ে একজন নারীর হৃদ্যন্ত্রকে আগের তুলনায় মিনিটে ৪০ শতাংশ বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়। রক্তের আয়তনও যায় বেড়ে। এমনকি রক্তচাপেও তারতম্য ঘটে। এসবই স্বাভাবিক। নারীর শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায়। কিন্তু যাঁদের লুক্কায়িত কোনো হৃদ্রোগ আছে (যেমন জন্মগত ভালব ত্রুটি), বা ছোটবেলায় বাতজ্বরের ইতিহাস, কিংবা আগে থেকে উচ্চরক্তচাপ ছিল —তাঁদের জন্য সন্তানধারণ বাড়তি ঝুঁকি ডেকে আনে বৈকি। তাঁদের জন্য চাই বাড়তি সচেতনতা।
যাঁদের ছেলেবেলায় বাতজ্বর বা বাতজ্বরজনিত হৃদ্রোগ হয়েছিল বা জন্মগত বা বংশগত হৃদ্রোগের ইতিহাস আছে, তাঁরা অবশ্যই গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন ঝুঁকি কতটুকু।
কিছু জন্মগত হৃদ্রোগ বা ত্রুটির চিকিৎসা করে সারিয়ে নিয়ে বা শল্য চিকিৎসা করার পর গর্ভধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার পর নিরাপদ মাতৃত্ব সম্ভব।
উচ্চরক্তচাপ অনেকেরই থাকে। হয়তো ওষুধও খাচ্ছেন। কিন্তু সন্তান ধারণের আগে এই ওষুধ নিরাপদ কি না, ওষুধ পাল্টাতে হবে কি না বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ নিন।
আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন এমন নারীরও গর্ভধারণের পর নানা সমস্যা হতে পারে। ৮ শতাংশ নারীর ২০ সপ্তাহের পর উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে। গর্ভকালীন উচ্চরক্তচাপ, পা ফোলা, খিঁচুনিসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। এ সময় নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনে চিকিৎসা নেওয়া দরকার।
গর্ভকালীন শেষ তিন মাস ও প্রসবের পর পাঁচ মাস পর্যন্ত হৃদ্যন্ত্র বড় হয়ে হার্ট ফেইলিউর হতে পারে। এতে শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের জন্য শুতে না পারা, পায়ে মুখে পানি আসা জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এ সময় অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস রোগ থাকলে ঝুঁকি বেশি।