Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০১৭: 55আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের দেশে-বিদেশে অবস্থিত সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসেব চেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এ নির্দেশনা জারি করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠান।

ড. মঈনুল খান বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের লেনদেন স্বচ্ছ নয়। তার একাধিক অপরাধের বিষয়ে আমরা আগে থেকেই তদন্ত করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লেনদেনের হিসাব নিয়ে ‍তিনি স্মাগলিং কিংবা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কিনা এগুলো খুঁজে দেখা হবে।’

ড. মঈনুল আরো বলেন, ‘আমাদের তদন্তে যদি দিলদার আহমেদের কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘দিলদার আহমেদের শুধু দেশেই না বিদেশেও যদি কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে সেগুলোর লেনদেন সংক্রান্ত সব তথ্যও উদঘাটন করা হবে।’

গত ২৮ মার্চ দ্য রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও তার বন্ধুরা। গেল শনিবার রাতে ভুক্তভোগীদের একজন বনানী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। সাফাত ছাড়াও ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাকিফ (২৭), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল (২৬) ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী তরুণীদের একজন উল্লেখ করেছেন, ‘আসামিরা ২৮ মার্চ ৯টা হতে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বনানীর দ্য রেইন ট্রি’ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে আমাকে, আমার বান্ধবী এবং এক বন্ধুকে আটকে রেখে সবাইকে মারধর করে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করে।’

‘আমাকে ও আমার বান্ধবীকে রুমের মধ্যে জোরপূর্বক নেশাজাতীয় মদ্যপান করে আমাকে এক নম্বর আসামি সাফাত এবং আমার বান্ধবীকে দুই নম্বর আসামি নাইম জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।’

‘তিন নম্বর আসামি সাকিফকে দুই বছর ধরে চিনি। তার মাধ্যমে এক নম্বর আসামির সঙ্গে পরিচিত হই। গত ২৮ মার্চ তার জন্মদিন উপলক্ষে এক নম্বর আসামির গাড়িচালক ও দেহরক্ষীকে পাঠিয়ে আমাদেরকে নিকেতন থেকে বনানীর রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।’

হোটেলে ছাদে বড় অনুষ্ঠান হবে বলে আমারদেরকে নেওয়া হয়েছিলো উল্লেখ করে ওই ছাত্রী এজাহারে বলেন, ‘যাওয়ার পর ওরা ছাড়া আর কোনো লোক দেখি নাই। পরবর্তীতে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় গাড়িচালককে ভিডিও করতে বলে সাফাত।’

‘ঘটনার প্রতিবাদের কথা বললে নাঈম আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়েছিলো আমাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য। এতে ভয় পেয়ে যাই এবং লোক লজ্জা ও মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করতে বিলম্ব হয়।’