খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার , ১২ মে, ২০১৭: নাটোরের গুরুদাসপুরে পুলিশের সাথে আওয়ামীগ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারী কর্মচারীকে মারপিট ও সরকারী কাজে বাধাদানের অভিযোগ এনে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ মোল্লাসহ জনকে ৬৫ জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুজ্জামান বাদি এই মামলাটি দায়ের করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় উপজেলা পরিষদে মাসিক সমন্বয় সভার দিন ধার্য্য ছিল। সভায় বিশৃ্খংলা হতে পারে এমন আগাম সর্তক বানী পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়ওই সভায় নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ ও তার সমর্থকরা প্রায় দুই শতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা চত্বরে এসে শো-ডাউন দিতে থাকে।
এসময় পুলিশ তাদের নিষেধ করলেও তারা তা শোনেননি। এক পর্যায়ে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এসময় পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এই ঘটনায় মেয়র শাহনেওয়াজ মোল্লাসহ ৬৫ জনকে আসামী করে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অন্যদের আটকে অভিযান পরিচালনা করা হবে।