Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

35kখােলা বাজার২৪।। রবিবার , ১৪ মে, ২০১৭:বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতি বলেছেন, ভ্রাম্যমান আদালত বন্ধ হলে বিপন্ন হবে ভোক্তা স্বার্থ সমস্যায় পড়বে জনতা। গত ১১ই মে ২০১৭ রোজ বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও বিচার কাজ পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ ও ২০১২ সালের করা পৃথক ৩ টি রিট আবেদনের চুড়ান্ত শুনানিতে বিচারপতি আশিষ চন্দন দাস ও বিচারপতি মাইনুল ইসলাম রায়ে বলেন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত নয়। রায়ে বলা হয় ভ্রাম্যমান আদালত বলে কিছু হলে তা অবশ্যই বিচারিক হাকিম বা মহানগর হাকিম দিয়ে গঠিত হবে। সংবিধান ও মাজদার হোসেন মামলার রায় অনুসারে। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত হবে। ভ্রাম্যমান আদালত এর ধারা ৫, ৬ (১) ৬ (২) ৬ (৪), ৭, ৮ (১), ৯, ১০, ১১, ১৩ ও ১৫ ধারা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

অন্যদিকে ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমান আদালত আইনের ৫ ধারা নির্বহি ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা সাধারন শ্রেণীর জনতা ও ভোক্তা আমরা এতো জটিল প্রকৃয়া বুঝিনা। আমরা বুঝি জনগনের জন্যই আইন তৈরী হয়। আইনের জন্য জনগন নয়। এখানে সংসদে তৈরী আইন ও প্রজ্ঞাপনের আইনে জটিলতা রয়েছে যা মহামান্য আদালত রায়ে বলেছেন। কিন্তু একথা সত্য যে, আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার আইন – ২০০৯, খাদ্য নিরাপত্তা আইন-২০১৫, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৬, শ্রম আইন -২০০৬ সহ অনেক ভাল আইন তৈরী হয়েছে। কিন্তু এসকল ভাল আইন প্রয়োগ হয়েছে কেবলমাত্র নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এর মাধ্যমে। ভ্রাম্যমান আদালত বিচারিক হাকিম বা মহানগর হাকিম দ্বারা পরিচালনা করা একদিকে সময় স্বাপেক্ষ ব্যাপার অন্যদিকে বর্তমান বিচারক সংকটে কি সম্ভবপর হবে?

মহিউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, ফরমালিন মুক্ত, জাটকা নিধন, বাল্যবিবাহ বন্ধ, ইভটিজিং, অসামাজিক কার্যক্রম, জুয়া, মাদক, ফিটনেস বিহীন গাড়ী, লাইসেন্স ছাড়া চালক, ভেজাল পণ্য, নকল, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিম্নমানের পন্য, প্রযুক্তির অপরাধ, মুঠোফোনের প্রতারনা সহ অসংখ্য কাজে ভ্রাম্যমান আদালত অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে। এ কথা ভুললে চলবে না। যা জনমনে ও ভোক্তা স্বার্থে স্বস্থি এনে দিয়েছিল। যদি ভ্রাম্যমান আদালত বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এমনকি আসন্ন রমজানের বাজার অস্থির হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। আমরা মহামান্য আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই আমাদের দেশের ৯০ ভাগ জনগনই আইন আদালত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। এ সকল জনগনের শেষ আশ্রয়স্থলই ছিল এই ভ্রাম্যমান আদালত। আমরা মহামান্য আদালতের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো, জনগনের জন্যই যদি আইন হয় তাহলে আইন সংশোধনের বা তৈরী করার নির্দেশ প্রদান করুন। ভ্রাম্যমান আদালত বন্ধ করে নয় বরং আদালতের পরিসীমা আরো বৃদ্ধি করুন।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।