খােলা বাজার২৪।। রবিবার , ১৪ মে, ২০১৭: পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার দাবিতে রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসমাবেশ। রোববার রাঙ্গামাটিতে ‘নির্যাতিত নিপীড়িত পার্বত্যবাসী’ ব্যানারে আয়োজিত এ মহাসমাবেশে দাবি জানিয়ে বলা হয়, পাহাড়ে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের জন্য দায়ী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এসব কর্মকান্ডে পাহাড়ে সা¤প্রদায়িতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় কতিপয় সংগঠনের উদ্যোগে দুপুরে শহরের সিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি বেগম নুরজাহান। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। এ ছাড়া পার্বত্য গণপরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকটে পারভেজ তালুকদার, রূপ কুমার চাকমা, সম-অধিকার আন্দোলনের নেতা কাজী মো. জালোয়া, খাগড়াছড়ির ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদ, নানিয়ারচরের আবদুর বারেক, লংগদুর খলিলুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা উজ্জ্বল পাল, মোর্শেদা আক্তার, সোহেল রিগান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল।
অব্যাহত সন্ত্রাস নির্মূলে অভিযান জোরদার এবং জনগণের নিরাপত্তায় সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালির সহাবস্থান নিশ্চিতসহ সবক্ষেত্রে বাঙালিদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিও তোলা হয়েছে।
সমাবেশের আগে সকাল ১০টার দিকে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্ত্বরে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা হতে লোকজন সমবেত হন। পরে সেখানে থেকে শহরের প্রধান সড়ক হয়ে বিশাল মিছিল সহকারে জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে সমাবেশে যোগ দেন। মিছিল ও সমাবেশে কয়েক হাজার জনতার ঢল নামে। এ সময় সকাল ১০টা হতে বিকাল প্রায় আড়াইটা নাগাদ পর্যন্ত শহরে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন যাত্রীসাধারণ।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম বন্ধ করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম ও হত্যাসহ নানা অপকর্মকান্ডে জনগণ অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করেছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবি জানান, বক্তারা।
তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা চরম হুমকিতে। পাহাড়ে অব্যাহত চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, হত্যাসহ যাবতীয় সন্ত্রাস নির্মূলে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়েছে।