বাংলাদেশসহ চাল উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশগুলোকে সুখবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই)। গত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরেও ধানের বাম্পার ফলনের ফলশ্রুতিতে খাদ্যশস্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে বলে আন্তর্জাতিক এই গবেষণা সংস্থাটি সম্প্রতি প্রকাশিত এক পূর্বাভাসে বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, এলনিও ও আবহাওয়াজনিত অন্যান্য প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরের স্বস্তিকর চালের বাজারের প্রেক্ষাপটে ২০০৭-’০৮ সালের মূল্য বৃদ্ধির বাস্তবতা এখন সুদূর অতীতের ঘটনা হিসেবেই গণ্য হবে।
২০১৬-১৭ বছরে চালের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে আরো বেড়ে ৪৮০ মিলিয়ন টন হতে পারে। গত বছর যা ছিলো ৪৭২ মিলিয়ন টন। এ তথ্য উল্লেখ করে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ফলে এশিয়ার অনেক দেশেই বাম্পার ফলন হয়েছে। গত ৭ বছরের মধ্যে এবার হচ্ছে চালের রেকর্ড উৎপাদনের ৬ষ্ঠ বছর।
এতে আরো বলা হয়, ভারত ২০১১ সালে বাসমতি বহির্ভূত (নন বাসমতি) চালের উপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর এবার ৬ষ্ঠ বছরে ১০ মিলিয়নেরও বেশি চাল রপ্তানি করতে পারে। রপ্তানি বাজারে ভারতের অংশগ্রহণ হওয়ায় চালের মূল্য স্থিতিশীলতার সহায়ক হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে চালের ভোক্তার পরিমাণও বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
২০০৬-’০৭ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪১৮.৫ মিলিয়ন টন। যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১৬-১৭ বছরে হয়েছে ৪৭৫.৫ মিলিয়ন টন। প্রতিবেদন বলা হয়, আফ্রিকার সাহারা অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্যে চালের ভোক্তা বৃদ্ধির কারণে চালের চাহিদা বেড়েছে।
আশু প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক চালের বাজারে ভারত ও চীনের সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে তাদের ব্যাপকতা ও আভ্যন্তরীণ খাদ্য নিরাপত্তার কারণে বাজারে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হতে পারে। রাজনীতিকরা কৃষকের সহায়তা ও আভ্যন্তরীণ মূল্য স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে অব্যাহত সমর্থন জোগাবে। এরফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।