খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০১৭: বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে দুই তরুণীর করা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নবাবপুর রোডের ইব্রাহীম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। এছাড়া গুলশান থেকে সাফাতের দেহরক্ষী আযাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে আটক করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিল্লালকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর পরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। তিনি বলেন, মামলার ৪ নম্বর আসামি সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের ইব্রাহিম হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিলেটে গ্রেপ্তার সাদমান সাকিফ ও সাফাত আহমেদ
অন্যদিকে আজাদকে গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, গুলশানে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রহমত আলী। তিনি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী। তিনি আজাদ নাম ব্যবহার করে চাকরি করতেন।
গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার ৪০ দিন পর গত ৬ মে এক তরুণী বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পাঁচদিন পর ১১ মে রাতে সিলেট থেকে প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চার দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় আটক হলেন বিল্লাল ও আজাদ। মামলার আরেক দ্বিতীয় আসামি নাঈম আশরাফ এখনোও পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী এক তরুণী জানান, রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের এই ছবি তোলেন সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল। আর এই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হতে থাকে ক্রমাগত। এছাড়া ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের আবার আপত্তিকর সম্পর্কে জড়ানোর জন্য চাপ দেয়া হচ্ছিল। এ কারণেই তারা মামলা করতে বাধ্য হন।
এদিকে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর আপন জুয়েলার্সের ‘ডার্টি’মানি’ খুঁজতে অভিযানে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা। এছাড়া ঘটনাস্থল রেইনট্রি হোটেলটিতেও তল্লাশি চালানো হয়।