Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০১৭: প্রজন্মের তরুণ ক্রিকেট–সমর্থদের অনেকে হয়তো চিনবেই না তাঁকে। কেউ কেউ হয়তো নাম শুনেছে, দেখেনি সেভাবে। দেখবে কী করে, পত্রপত্রিকা বা টিভিতেও যে এখন আর দেখা যায় না এই মুখ। অথচ মাশরাফি বিন মুর্তজার মতোই সমান প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন এই পেসার। একসময় তালহা তাঁর পেসে প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাবেন—এমন আশাই করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট।

সেই তালহা কোথাও নেই। ২০১৪ সালের পর ঘরোয়া ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে খেলেননি। সর্বশেষ ঘরোয়া ওয়ানডেও খেলেছেন ২০১৩ সালে। একরকম ভুলে যাওয়া সেই তালহাকে মনে করিয়ে দিল আইসিসির টুইট। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সমাসন্ন। এই উপলক্ষে আইসিসি নানা রকম পরিসংখ্যান মনে করিয়ে দিচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের। তাতেই আজ টুইট করে জানানো হয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারের রেকর্ডটা তালহা জুবায়েরের।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছিল এই পেসারের। ২০০২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে অভিষেক। প্রথম স্পেলে লঙ্কান ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ মারভান আতাপাত্তু আর মাহেলা জয়াবর্ধনেকে ফিরিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন নিজের আবির্ভাবের। নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেয়েছিলেন ৪ উইকেটও।

কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুতেই চোটে পড়ে একে একে সব হারালেন। নিজের শুরুর সেই ধার আর ফিরেই পেলেন না। অথচ সাবেক ক্যারিবীয় কিংবদন্তি অ্যান্ডি রবার্টস তালহার বোলিং দেখে বলেছিলেন, নিজের শরীরটা ঠিকমতো গড়ে নিতে পারলে একদিন ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বোলিং করবে এই ছেলে। সেই তালহার শরীরটাই তাঁকে ৭ টেস্ট আর ৬ ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ার বানিয়ে দিল। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আর টিকে রাখতে পারেননি নিজেকে।

তালহার ওয়ানডে অভিষেকই হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২০০২ সালে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচ দিয়েই সবচেয়ে কম বয়সে এই টুর্নামেন্ট খেলার রেকর্ড গড়েন। রেকের্ডটা আজও অক্ষুণ্ন আছে। যদিও তালহা সেই ম্যাচটা ভুলে যেতে চাইবেন। ৫ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছিলেন বলে তাঁকে আর আক্রমণেই আনেননি অধিনায়ক খালেদ মাসুদ!