Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

25kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০১৭: এই শাক জলে জন্মে, জলেই বেড়ে ওঠে। দামে কম হলেও এই শাকের উপকারিতা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বলা হচ্ছে, কলমি শাকের কথা। এই শাকটি তুলনামুলক কম খাওয়া হলেও গুণাগুণ অসামান্য।

কলমিশাক আঁশজাতীয় একটি খাবার। এতে খাদ্যউপাদান রয়েছে প্রচুর পরিমানে। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। ভর্তা কিংবা ভাজি করে তরকারী হিসেবে খাওয়া হয় এই কলমি শাক।

কলমি শাকের আরও কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক:

হাড় শক্ত করে
কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না।

চোখ ভালো রাখে
কলমিশাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। কলমিশাক দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।

রোগ প্রতিরোধক
কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।

শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে
কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ্য হবার জন্য তাই কলমিশাক খাওয়ানো হয়ে থাকে।

হজম সহায়ক
কলমিশাক মূলত আঁশজাতীয় খাবার। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমিশাক বিশেষ উপকারী।

বসন্ত রোগে
কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

রক্তশূন্যতায় কলমিশাক
কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় এই শাক রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। সারা দেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মহিলাদের শারীরিক সমস্যায়
মহিলাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সমস্যায় দ্রুত কাজ করে কলমিশাক।

১০০ গ্রাম কলমি শাকে রয়েছে
প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম।