
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড. মোল্লা আবু কাওসার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ এমপি সাক্ষরিত দলিয় প্যাডে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩ বছর মেয়াদ সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি অনুমোদন দেন।
কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পূণাঙ্গ কমিটির নাম কেন্দ্রে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অনুমোদিত নতুন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির সভাপতি নাজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপালো, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামন সুনাম। অপরদিকে সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রাজা, রওশন উল ফেরদৌস পারভেজ, জাবেদ শিকদার হেলাল, আকবর আলী, ওসিম চৌহান, মোমিনুল রশিদ মুকুল, মোমিনুল ইসলাম ভাসানি। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শামীম ফেরদৌস, মুরাদ ইসালম, ফখরুল ইসলাম জুয়েল। সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন, এমদাদ ফরহাদ, জিএম সিরাজি মিজান, দপ্তর সম্পাদক মাহামুদ বিপু।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী জানায়, আমরা সবাই আশা করেছি জাক জমক ভাবে সম্মেলন হবে। কিন্তু হঠাৎ করে পকেট কমিটি অনুমোদন হওয়ায় আমরা হতাশ। মাঠের নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
আর এক সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী জানান, মিছিল মিটিং এ যাকে দীর্ঘ দিন যাবৎ দেখা যায়নি তাকে সভাপতি করা হয়েছে উপর মহলে গ্রুপিং লবিং এর কারনে। এতে করে মাঠের কর্মীদের আগামী দিনের আন্দোলনে একত্রিত করতে কিছুটা বেগ পেতে হবে নতুন কমিটিকে। নতুন কমিটি দলকে আরো সুসংগঠিত করবে এটাই প্রত্যাশা আমাদের।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ নেওয়াজ চৌধুরি শাকিল জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি যেহেতু অনুমোদন দিয়েছে নেতাকর্মীদের তা মেনে নিতে হবে। কিন্তু দলকে যারা সুসংগঠিত করেছে তার কমিটির মূল তালিকায় না থাকায় হাতাশা ব্যক্ত করেছেন।
নতুন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজামান সুনাম জানান, কেন্দ্র যা অনুমোদন দিয়েছে তাই আমরা মেনে নিয়েছি। কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে একটু ক্ষোভ থাকবেই। পরে ঠিক হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা নতুন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপোলোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।