খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২০ মে, ২০১৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কিছু পুলিশ ও বিজিবি সদস্য যে জড়িত নেই তা অস্বীকার করব না। তবে প্রমাণ পেলে তাদের বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগ আয়োজিত ‘মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ-২০১৭’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকপাচার বন্ধে ভারতের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশে ফেনসিডিল প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু ঠিকই সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। এক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতাই করছে না মিয়ানমার। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিস্তার বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের শক্তিতে আমরা উন্নয়নের পথে হাঁটছি। জনগণকে সঙ্গে না নিয়ে চললে আমরা সফল হতে পারব না। মাদকের চাহিদা হ্রাস করার জন্য আমরা সামাজিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করছি। দেশে ১৫৭টি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা দিয়ে মাদকসেবীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের প্রথম শর্ত হলো মানুষের নিরাপত্তা। আর দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সে যার ছেলেই হোক না কেন। এ ব্যাপারে সরকার খুবই কঠোর। অপরাধীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলব না যে, দেশে জঙ্গিবাদকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো জঙ্গিবাদ নিয়ে যখন অস্বস্তিতে রয়েছে সে সময় আমরা অনেক ভালো আছি। জঙ্গি দমনেও আমরা এখন পর্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাংসদ সানজিদা খানম, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।