Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২০ মে, ২০১৭: 61“নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন কোনোভাবেই জনসাধারণের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক চাপ ফেলবে না। কারণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সম্পূর্ণভাবে ভ্যাটের বাইরে রাখা হয়েছে। বাজারে এগুলোর দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।”

শনিবার কাকরাইলের আইডিইবি সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

ভ্যাট আইনটি নিয়ে তিনি বলেন, “এটি স্বচ্ছ, আধুনিক, সময়োপযোগী, সর্বোপরি দেশি-বিদেশি ব্যবসাবান্ধব ও চাহিদার উপযোগী। বিভিন্ন আঙ্গিকে নতুন আইনটি পুরনো আইনের চেয়ে উৎকৃষ্ট।”

আলোচনায় এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাট আইনে দেশীয় শিল্পের ন্যায্য সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী খাতে সুবিধা, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা থাকবে। সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে (মৌলিক চাহিদা, খাদ্য ও কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি) ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া আছে। শীঘ্রই কয়েক পৃষ্ঠার দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

অব্যাহতি বিষয়ে তারা জানান, পুরনো আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো অব্যাহতি ছিল না। নতুন আইনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হলে ভ্যাট দিতে হবে না। ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হলে মাত্র ৩ শতাংশ টার্নওভার কর দিতে হবে।

নতুন আইনে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে জানানো হয়, ভ্যাট কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা নিজের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। বহুব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাত্র একটি নিবন্ধন নেয়ার সুবিধা থাকছে। অহেতুক শিল্প কারখানা পরিদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভ্যাট কর্মকর্তারা সেবার মনোভাব নিয়ে ‘হালখাতা’ ও ‘মেলা’র পরিবেশে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে নতুন আইন। ফলে ব্যবসায়ীরা নিবন্ধন, রিটার্ন জমা, অনলাইন পেমেন্ট, রিফান্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে খরচ কমবে এবং জনসাধারণ উপকৃত হবেন।

নতুন আইনে প্রচলিত আইনের মতোই ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় হবে। এটা নতুনভাবে আরোপিত হচ্ছে না। বরং সব পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণে ভ্যাট অন্তর্ভূক্ত করে হিসাব নির্ধারণের পদ্ধতি অনুসরণ হওয়ায় পণ্য ও সেবার মূল্য কমবে। রেয়াত দেয়ার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকায় উদ্যোক্তা ও উৎপাদনকারীরা উৎপাদন খরচ কমাতে পারবেন।

সামগ্রিকভাবে ১ জুলাই নতুন আইন বাস্তবায়নের পরে কোনো সমস্যা হলে পরামর্শমূলক পদ্ধতিতে তার সমাধান বের করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।