Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২২ মে, ২০১৭: সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সমশের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, ইরানকে একঘরে করতে গিয়ে আমেরিকাই একঘরে হয়ে যায় কি না সেটাই দেখার বিষয়। তিনি বলেন, সৌদি আরবে যে সম্মেলন হচ্ছে তাতে যোগদানকারী মূল ব্যক্তি হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাকে নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। নিজের দেশে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসছে এবং তা এখন সর্বনিম্ন তাকে যখন লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে দেয়া হয় তখন তাকে ইসলাম বিষয়ে কথা না বলতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি তার লিখিত বক্তব্যের বাইরে ইসলামিক টেররিস্টদের কথা বলেছেন, যেটা তিনি এর আগে তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন।
রবিবার রাতে ডিবিসি নিউজ-এর রাজকাহন অনুষ্ঠানে সমশের মুবিন চৌধুরী এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান।
সমশের মুবিন চৌধুরী আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে প্রকাশ্যে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং ইসলামভীতি ছড়ানোর অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন ট্রাম্প। ইসলামের বিরুদ্ধে যত খারাপ ভাষা ছিলো সব বলেছিলেন তিনি। তাহলে এখন যে কথাগুলি তিনি বলছেন এসব কি তিনি আসলে জেনেশুনে বলছেন নাকি বলতে বলা হয়েছে তা-ই শুধু পুতুলের মত বলে চলেছেন? তার নীতি কিন্তু এখনও কোনভাবেই পরিস্কার না। ইউরোপ এখন আর তার ওপর নির্ভর করতে পারছে না।
সমশের মুবিন বলেন, সৌদিতে এই সম্মেলন যখন শুরু হয় তখন ইরানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আপনারা দেখেছেন, ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার সেই নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। সেখানে ইরানকে একঘরে করতে গিয়ে আমেরিকাই একঘরে হয়ে যায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ব্যাপারটা আমেরিকা একা প্রত্যাহার করবে কি করে? এই চুক্তির সঙ্গে আরও অনেক দেশ জড়িত। আর এটার ব্যাপারে যদি ট্রাম্প কোন শক্ত অবস্থান নিতে চান তাহলে আমেরিকাই একঘরে হয়ে পড়তে পারে।
সমশের মুবিন বলেন, মক্কা ও মদিনা মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্রতম স্থান। সে কারণেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব রয়েছে। সে কথা মনে রেখেই মক্কা ও মদিনার প্রতি কখনও হুমকি এলে, সৌদি আরব যদি চায়, তাহলে আমরা সেখানে সৈন্য পাঠাব।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের মূল সমস্যা তৈরি হয়েছিলো তাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইয়েমেনকে নিয়ে। ইয়েমেনে ইরানের বড় প্রভাব রয়েছে। সৌদি আরব তার নিজ স্বার্থে মাঝে মাঝে ইয়েমেনে সরকারবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর উপর স্থল ও বিমান হামলা করে আসছে, যুদ্ধ করছে। এই বিষয়টাকে অনেক দেশ সঠিক মনে করে না। ইয়েমেনে হামলার মাধ্যমে মূলত মার্কিন ও ইসরায়েলী ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়ন করছে সৌদি আরব। মার্কিন ও ইউরোপিয়ানদের অস্ত্র ব্যবসা আরো রমরমা হবে যার প্রধান ক্রেতাই হল সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় সকল আরব রাষ্ট্রগুলো ! ঠিক সাদ্দামের মত অবস্থা হয় কি না সৌদি রাজতন্ত্রের সেটাই এখন দেখার বিষয়।