Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭: 73বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়া এখন অনেক সহজ। এ প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতের অন অ্যারাইভাল অথবা ই-ভিসা সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাইকমিশনার শ্রিংলা বলেন, ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে সহজ প্রক্রিয়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে।

‘ভারতীয় ভিসার প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজ করা হয়েছে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পাচ্ছেন। নারীদের সরাসরি আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, সবার জন্যই এক বছরের ভ্রমণ ভিসা দেয়া হচ্ছে। এসব সুবিধা ই-ভিসার চেয়ে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে না। ই-ভিসা শুধুমাত্র বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং সেখানেও ভিসা প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেকখানি সময় লেগে যাবে।

চীনে ওয়ান বেল্ট ফোরামে ভারতের অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেন, এ বিষয়ে ভারতের একজন মুখপাত্র বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত অবশ্যই আঞ্চলিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতি এবং যেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে তার সার্বভৌমত্ব অবস্থান অক্ষুণ্ন করতে হবে বলেই ভারত বিশ্বাস করে। এ নীতিতেই ভারত চীনের ওয়ান বেল্ট নীতির ব্যাপারে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা মাত্রার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক আদালতের দেয়া রায় অনুসারে সমুদ্র সীমা নির্ধারণ, উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় হওয়াসহ দু’দেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক হয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও নিরাপত্তার বিষয়টি এখন বৈশ্বিক ইস্যু। নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, এমন দাবি কোনো দেশের পক্ষেই করা সম্ভব নয়। আজ যে দেশ নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে কাল সেখানে যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। সর্বশেষ ম্যানচেস্টারের ঘটনাই তার প্রমাণ।

‘হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়’ যোগ করেন এই কূটনীতিক। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংত্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ যদি ভুটান কিংবা নেপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশে নিয়ে আসতে চায় সেক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে ভারত।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত নেপালের জোট-বিবিআইএন প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, এ জোটের মাধ্যমেও ভারত বাংলাদেশকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে সহযোগিতায় প্রস্তুত।