Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

7kখােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭: পবিত্র রমজান শুরুর আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতিবছর রমজান আসলেই বাড়ে তেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুরসহ, অন্যান্য পণ্যের দাম। তবে এবার কৌশল বদলে এক মাস আগেই এগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে। রমজান আসলেই চাহিদা বাড়ে তেল, চিনি, ছোলা ও ডালসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের।

জানা গেছে, দেশের ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ১৫ লাখ টন। যার মধ্যে সয়াবিন ১১ লাখ, পাম অয়েল ৩ লাখ ও সরিষার তেল ১ লাখ টন। সে হিসেবে সয়াবিনের চাহিদা মাসে পৌনে দুই লাখ টন। আর রমজানে ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া হয় বলে চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় সোয়া দুই লাখ টনে।

আর এ সুযোগই কাজে লাগান কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।তবে আন্তর্জাতিক বাজারে গেলো ডিসেম্বরেও অপরিশোধিত ভোজ্যতেল বিক্রি হয়েছে টন প্রতি ৮০০ মার্কিন ডলারে। এ বছর মার্চে যা কমে ৭১০ ডলার হলেও দেশের বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই!

আবার তেলের দাম কী হবে তা নির্ভর করে ভোজ্যতেল আমদানিকারক কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের মেজাজ-মর্জির ওপর।রাজধানীর মৌলভীবাজার পাইকারি আড়তে কেজি প্রতি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮১ টাকা, পাম অয়েল ৭৩ টাকা ও সুপার অয়েল ৭৮ টাকায়। আর বোতলজাত সয়াবিন লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৩ থেকে ১০৬ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তেলের মজুদ পর্যাপ্ত থাকার পরও মিলগেটে দেরিতে মাল খালাস হচ্ছে।অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’ বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছে ৮৫ টাকা দরে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য টিসিবি

কিছু তেল আনলেও চাহিদার তুলনায় তা খুবই সামান্য।তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কঠোর নজরদারি ও অতি মুনাফার লোভ না ছাড়া পর্যন্ত এই অবস্থা বদলানো সম্ভব না। আর এজন্য সরকারকেই কঠোর ও জনগণের প্রতি জবাবদিহিতামূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।