খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭: ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরে কনসার্টে বোমা ‘হামলাকারী’ সালমান আবেদির সঙ্গে আল-কায়েদার সংযোগ ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। সন্ত্রাসী হামলার প্রশিক্ষণ নিতে ব্রিটেনের বাইরেও গিয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা।
২২ বছর বয়সী সালমান লিবিয়া বংশোদ্ভূত। তিনি ২০১৪ সালে ম্যানচেস্টারের স্যালফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ‘বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু দুই বছর পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন। বোমা বিস্ফোরণের পর তাঁর লাশের পকেটে পাওয়া ব্যাংক কার্ড থেকে সালমানের পরিচয় মেলে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিএ।
সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সালমানের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ১২ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন সালমান। এর মধ্যে লিবিয়াও ছিল। আল-কায়েদা ছাড়াও বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সালমানের যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। এ ছাড়া সে বিপজ্জনক কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবারের অনেক সদস্য।
সোমবার রাতের এই হামলায় ২২ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৫৯ জন আহত হয়েছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ।
ম্যানচেস্টারের পুলিশ বলছে, সালমান আবেদি এই হামলা একা চালিয়েছে নাকি তাঁর সঙ্গে আরো কোনো সহযোগী ছিল সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিকে ম্যানচেস্টারের অ্যালবার্ট স্কোয়ারে পৌরভবনের বাইরে মানুষজন নিহতদের স্মরণ করছে।
আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্ট শেষে ভক্তরা যখন হল ছেড়ে বাইরে বের হচ্ছিল তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তাঁর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই বোমা হামলা একটা নির্মম সন্ত্রাসী হামলা, যার লক্ষ্য ছিল ‘অসহায় শিশু-কিশোর’।
যুক্তরাজ্যে ২০০৫ সালে ৭ জুলাই চালানো সন্ত্রাসী হামলার পর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলা। ২০০৫ সালের হামলায় মারা গিয়েছিল ৫২ জন।