খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭: বিএনপি একদিকে নির্বাচনকালীন নিদর্লীয় সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করছে। অন্যদিকে এই নির্দলীয় সরকার গঠনে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির নানা পরিকল্পনা করছে। প্রথম পরিকল্পনায় রয়েছে- তারা রমজানের ও ঈদের পরে রূপরেখা উপস্থাপন করবে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়ার জন্য বিএনপির তরফ থেকে সময় চাওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি সময় দিলে সেটি তার সঙ্গে দেখা করে উপস্থাপন করবেন বিএনপির মহাসচিব। আর যদি সময় না মিলে তাহলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় যেভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবে, সেইভাবে দিবে।
বিএনপির সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে একটি চিঠিও দেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনের অনুরোধ জানানো হবে। সংলাপের উদ্যোগ তিনি নিলে বিএনপি তার মধ্যস্থতায় সব দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। সরকারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, আমরা আগে সব কিছুই শান্তিপূর্ণভাবে ও সমঝোতার মাধ্যমে করতে চাইছি। সমঝোতার মাধ্যমে যদি না হয় তখন প্রথমে কর্মসূচী দেওয়া হবে। সেখানে বলা হবে, যাতে সংলাপে বসে সরকার। এই জন্য মানববন্ধন, মিছিল, সভা, সমাবেশ করা হতে পারে। পুলিশ যদি অনুমতি না দেয় তাহলে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
বিএনপি আশাবাদী সরকার নিজেদের স্বার্থে ও ইমেজ রক্ষার্থে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে। বিতর্কিত নির্বাচন করবে না। ভাল নির্বাচন করতে সমঝোতার কোন বিকল্প নেই। এখন সরকার বিএনপিকে চাপে রাখলেও পরে সরকার নমনীয় হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঈদের পর বিএনপি চেয়ারপারসন সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। জাতীয় নির্বাচনের ইসি রোডম্যাপ দিয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। এ জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার করতে হবে। সেই দাবি উপেক্ষা করে কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, রোডম্যাপে যতই সংস্কারের কথা বলেন, যতই রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার কথা আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনেই। সেটা সরকারকে করতে হবে। বিএনপি নিদর্লীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। নির্দলীয় সরকারের নাম যাই হোক না কেন।