খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭: জামালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ শিশুর স্বজনরা হাসপাতালের ঘেরাও করে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সদর থানা পুলিশ।
শহরতলীর পাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম রানা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার গর্ভবতী স্ত্রী উম্মে নাহিদা জামান পপির প্রসব ব্যাথা শুরু হয়। তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (সেন্ট্রাল হাসপাতাল) নিয়ে ভর্তি করেন। হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক রাশেদা বেগম রুমার তত্তাবধানে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। গর্ভবতী পপির সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর গর্ভের বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করেন ওই চিকিৎসক। ভর্তির ৪দিন পর বুধবার দুপুরের সিজার অপারেশনের আল্ট্রসনোাগ্রাম করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে গর্ভে থাকা শিশু ৪দিন আগেই মারা গেছে।
৪দিন আগে গর্ভের বাচ্চা মারা যাওয়ার পরও কেন গর্ভবতীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তা তিনি পাশ কাটিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ওই বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এটা কোন ঘটনা না। এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
জামালপুর বেসরকারী ক্লিনিক/হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি ডা: আব্দুল মান্নানের কাছে গর্ভের বাচ্চা মারা যওয়ার পরও চিকিৎসা দেয়া প্রতারনা কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু একটি ঘটনা ঘটে গেছে, সে কারনে রোগীর স্বজনরা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আপত্তি থাকবে না।
অভিযোগ রয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কতৃপক্ষ জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে দালাল নিয়োগ করে চিকিৎসা সেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ভুক্তভোগীরা এই প্রতারকের শাস্তি দাবি করেছে।