খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭: মালদ্বীপের মডেল ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাউধার মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর দিন ভোরে একটি বার্তা এসেছিলো। ওই বার্তায় লেখা ছিলো- তুমি বেহেশতের ফুল হয়ে যাবে’। এই তথ্যটি এখন তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এর সূত্রধরে বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ দাবি করেন, সেই বার্তার মাধ্যমে রাউধাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিলো। লিখিত বক্তব্যে তিনি আবারও দাবি করেন, রাউধাকে হত্যা করা হয়েছে। রাউধা আত্মহত্যা করেনি। হত্যাকা-ের কয়েক দিন আগে রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্ট রাউধার সঙ্গে এক যুবকের ঝগড়া হয়েছিলো। ওই যুবকটি কে ছিল? তা জানা যাবে রেস্টুরেন্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলে।’ ওই যুবককে আটক করা গেলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও তিনি জানান।
ডা. আথিফ আরও বলেন, ‘পাসওয়ার্ড ছাড়া আইফোনে প্রবেশ সম্ভব নয়। কিন্তু কে বা কারা রাউধার আইফোনে তার মৃত্যুর পর প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে রাউধার বান্ধবী সিরাথ ও বন্ধু মহসিনের নাম ডিলিট করে দেয়। মহসিন ও সিরাতের নামই বা কেন ডিলিট করা হলো এবং কে এই কাজটি করলো তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’ সংবাদ সম্মেলনে রাউধার বাবার পাশাপাশি তার আইনজীবী কামরুল মনিরও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরের শাহ্ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুনময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কবর থেকে উঠানো হয়েছিলো। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।