খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭: রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের নাম সাফোনোভো। যে গ্রামের একমাত্র বাসিন্দা ৮৫ বছরের মারিয়া ভেসেলোভা। পরিবারের সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেও তিনি গ্রামেই থেকে গেছেন। পুরো গ্রামেই তার নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র সঙ্গী পোষা একটি কুকুর।
নব্বই ছুঁই ছুঁই এই রুশ নারী মস্কোর কাছের একটি গ্রাম সফোনোভার একমাত্র বাসিন্দা। পরিবার-পরিজনহীন, অদ্ভুত এক নি:সঙ্গ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তিনি। নি:সঙ্গতাও যে কারো কারো কাছে ভালোলাগার প্রতীক হতে পারে তারই সাক্ষাৎ নজির স্থাপন করেছেন তিনি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার পর সফোনোভা গ্রামের বাসিন্দারা শহরমুখি হতে শুরু করে। এখন এই গ্রামটিতে মারিয়া ছাড়া আর কেউ’ই থাকেন না।
সফোনোভোর একমাত্র বাসিন্দা মারিয়া ভেসেলোভা বলেন, ‘আমি ছাড়া এই গ্রামে আর কোন মানুষই নেই। একটি বাড়ি আছে, যেখানে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে দু’একজন আসেন। আরেকটি বাড়ি আছে, যেটি বিক্রি করা হলেও, সেখানে কেউ থাকে না।’
পোষা একটি ককুরই মারিয়ার সার্বক্ষণিক ছায়া সঙ্গী। প্রতিবেশি ও পরিচিতজনদের অনেকের মোবাইল নম্বর ডায়েরীতে থাকলেও, কাউকেই ফোন দেন না তিনি। সপ্তাহান্তে গ্রামে আসা ভ্রাম্যমান দোকান থেকেই সংগ্রহ করেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। বাহিরের লোকদের খবর নেন এই গাড়িওয়ালার কাছ থেকেই। নাতি-নাতনিরা নিতে আসলেও গ্রাম ছাড়তে নারাজ এই নারী।
সফোনোভোর একমাত্র বাসিন্দা মারিয়া ভেসেলোভা বলেন, ‘যখন কাজে ব্যস্ত থাকি তখন আর খারাপ লাগে না। বাগান করি, আমার বাগানে আলু, গাজর, বাধাকপি, আদা চাষ হয়। তবে শীতকালে চাদর মুড়ি দিয়ে, ঘরে বসে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না।’
রহস্যময় এই নারী ও সভোনোভা গ্রাম নিয়ে ক্রমেই কৌতুহল বাড়ছে রুশদের। চ্যানেল ২৪