খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭: যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে বাজেটে বরাদ্দের কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেনা নারীরা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেও সময়মত প্রকল্প অনুমোদন হয়না বলেই ফেরত যাচ্ছে বরাদ্দের অধিকাংশ টাকা। তাই অর্থনীতিবিদ এবং নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা আসন্য বাজেটে ভ্যাট ট্যাক্স কমানোর পাশাপাশি নারীবান্ধব ব্যবসায়ীক পরিবেশ গড়ে তুলতে বরাদ্দকে পরিকল্পনা মাফিক কাজে লাগানো হবে।
৪টি মন্ত্রণালয় দিয়ে ৫ বছর আগে যাত্রা শুরু জেন্ডার বাজেট। ২০০৯/১০ অর্থবছর থেকে প্রতিবছরই জাতীয় বাজেটের সাথে জেন্ডার বাজেট দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি নারী উন্নয়ন।
২০১৬/১৭ অর্থবছরে জেন্ডার বাজেটে ৪০ টি মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯২ হাজার ৭শ’৬৫ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৭.৫ শতাংশ। সাথে আছে শতকোটি টাকার থোক বরাদ্দ।
তবে বরাদ্দের এই অর্থের তেমন কাজে আসছেনা বলে মনে করেন বিডব্লিউসিসিআই এর সাবেক পরিচালক গুলসান নাসরীন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাজেটের টাকা আসার পরে টাকাটা কোথায় কোথায় যাবে সেই বিষয়গুলো সেট করতে করতেই আরেকটি বাজেট চলে আসতো। তাই আমি মনে করি বাজেট অনুযায়ী সময়ের অভাবে প্রশিক্ষণ কম হয় এবং টাকাগুলো ফেরত চলে যায়।
এদিকে বিআইডিএস সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ বলেন, নারীদের জন্য মোট বাজেটের ২৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হলো কিনা সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, নারীদের সমস্যা সমাধানের যে নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষিত হয়েছে এবং তার একটা কর্মপরিকল্পনা আছে সেই পরিকল্পনাকে কাজে লাগাতে এই বরাদ্দ হচ্ছে কি না সেটা হচ্ছে বিষয়।
তাদের অভিযোগ, একদিকে ভ্যাট ট্যাক্সের ব্যরাজালেই হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্যদিকে ব্যবসা শুরুর জন্য ঋণ পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তাদের।
তাই আসন্য বাজেটে নারীদের জন্য ভ্যাট ট্যাক্সের হার কমানোর পাশাপাশি নারী বান্ধব ব্যবসায়ীক পরিবেশ তৈরির তাগিদ নারী উদ্যোক্তা ও নারী অর্থনীতিবিদদের।
সূত্র: ডিবিসি