Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭: 4ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো অর্থায়ন করছে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে। এছাড়া বিদেশি সাহায্যও পাচ্ছে তারা। জঙ্গি অর্থায়ন সম্পর্কে এমন মত নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলছেন, জঙ্গি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ১৯৯২ সালে হুজিবি’র আনুষ্ঠানিক গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের প্রথম পর্ব দাওয়া স্তরের শুরু। গত দেড় দশকে দ্বিতীয় স্তর ‘ইদাদ’ অতিক্রম করে এখন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর ‘রিবাত’ ও ‘কিলালের মাঝে কোনো এক পর্যায়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ।
এছাড়া জঙ্গিদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে নব্য জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম, এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মিলেছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক।
এসব অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজন বিপুল অর্থ। এসবের উৎস কি? প্রশ্ন ছিলো পুলিশ প্রধানের কাছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা তাদের গ্রেফতার করার পর সে বলে ওমোক লোক আমায় দিয়ে যায়। এটি অলৌকিক। আর কারা এর ফাইন্যাস করে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পাই না।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘হাসপাতাল, কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে ৫শ’ অধিক সেন্টারের তালিকা আছে। সেখানে ২ হাজারের বেশি মুনাফা হয়। সেই টাকার কোনো হিসাব নিয়ন্ত্রণে আছে। এই টাকার উৎস জঙ্গিরা কোথা থেকে পায় সেটির সরাসরি প্রমাণ আমরা হাতেনাতে ধরতে পেরেছি। আর সেটি পাকিস্তানের জঙ্গিবাদরা টাকার উৎস দিচ্ছে।’
দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ও অর্থায়নের পেছনে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জোরালো ভূমিকা আছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘এই জঙ্গিবাদের মূল গোঁড়া হলো জামাতের রাজনীতি। জামাতের যে অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য রয়েছে সেটি এই সরকার চেষ্টা চালিয়েও খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না বলে আমি মনে করি।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যেসব জঙ্গিরা আমাদের কাছে গ্রেফতার হয়েছে সেই সব জঙ্গিদের পরিচয় পাওয়া গেছে।’
তবে দুই জনেই মনে করেন দীর্ঘ মেয়াদে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আইনি তৎপরতার পাশাপাশি প্রয়োজন সমাজের সব স্তরের মানুষের সচেতনতা এবং সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, গত ৬ মাসে ১৫টি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মারা গেছে ৬৫ জঙ্গি। আর গ্রেফতারও হয়েছে অনেকেই। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না তাদের বিস্তার।
আর তাই বিশ্লেষকদের পরামর্শ দীর্ঘ মেয়াদে জঙ্গিবাদ বন্ধ রোধ করতে হলে বন্ধ করতে হবে তাদের অর্থনৈতিক উৎস। আর সেই সাথে বন্ধ করতে হবে জঙ্গিদের পেছনের রাজনৈতিক ম“।