খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭: রোজার শুরুতেই তীব্র পানি সংকটে পড়েছে রাজধানীর অনেক এলাকার মানুষ। কিছু এলাকায় একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না পানি। কোথাও ময়লা আর দুর্গদ্ধে টেকা দায়। সংকটের জন্য অতিরিক্ত লোডশেডিংকে দায়ী করছে ওয়াসা।
সুরাইয়া সুলতানা ২০ বছর ধরে থাকেন পূর্ব ধোলাইপাড়ে। স্বামী-সন্ত ানসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত। বেশ কিছু দিন ধরে পানির সংকটে দৈনন্দিন কাজ দূরের কথা, তিনবেলা রান্না করাই দায়।
সুরাইয়ার মতো ধোলাইপাড় এবং আশপাশের ৪টি এলাকার ৪০ হাজার পরিবারের একই দুর্দশা। পানির কষ্ট কমাতে ২০০৮ সালে স্থাপন করা হয় চারটি পাম্প। নয় বছরের মাথায় এর দুটিই অকেজো, খরা মৌসুমে বাকি দুটিতেও ঠিক মতো আসে না পানি। মাঝেমধ্যে ওয়াসার লাইনে যা পানি আসে তাও ময়লা-দুর্গন্ধে ব্যবহারের অযোগ্য।
শুধু ধোলাইপাড় নয়, রোজা আসার সাথে সাথেই পানি সংকটে পড়েছেন মোহাম্মদপুর, হাজারিবাগ, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, শেখেরটেক, রামপুরা, ইসলামবাগ, রসুলবাগ, কুতুববাগসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ।
পানি সংকটের জন্য অতিরিক্ত লোডশেডিং, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও পাম্প স্থাপনে জায়গার অভাবকে দায়ী করছে ওয়াসা। তবে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জন্য চোরাই লাইনকেই দায়ী করছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিন এ খান জানান, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমিয়ে ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়াতে তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওয়াসা। ২০১৮ সালের শেষে রাজধানীর পানি সংকট পুরোপুরি কাটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে ওয়াসা।