Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭: 10সময়ের সাথে সাথে আমাদের প্রতিদিনের চাহিদার পণ্য চিনির দাম ক্রমাগত বেড়ে চলছে। একটা সময় ছিলো যখন দাম ছিলো ২৮টাকা করে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন খাত দেখিয়ে চিনির মূল্য বৃদ্ধি করে দিলো। আর সেই সময় ব্যবসায়ীরা সরকারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬০টাকা থেকে শুরু করে ৬৫টাকা করে চিনি বিক্রি করে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত-অপরিশোধিত চিনির দাম বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ। এদিকে রমজানের আগেই চিনি ও তেলের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে। বিক্রেতাদের মতে, সামনে চিনির দাম আরো বাড়তে পারে। কারণ তারা যে দামে চিনি বিক্রি করছেন তাতে করে তারা লাভ করতে পারছেন না।রবিবার রাতে সময় টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল।
হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া আরও বলেন, শুধু চিনির দামই বাড়ে নাই, চিনির সাথে সাথে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত এক সপ্তাহে শুধু ভোজ্য তেল নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যেরই দাম বেড়েছে। চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা, ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০ টাকা, মসুর ডালের দাম ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১২০ টাকায় এবং দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি রসুনের মূল্য এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০টাকা। খোলাবাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায়। চিনিতে সরকারের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগে বেসরকারি ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত চিনির দাম আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই রোজার মাসে তারা ব্যবসা করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের সাথে। আর বিভিন্নভাবে দেশী পণ্যগুলোর চাহিদা কম বলে বিদেশী পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে ভোক্তাদের কাছে।
তিনি আরো বলেন, এখন সরকার যদি চায় যে চাহিদার মধ্যে মূল্য নির্ধারণ করে ভোক্তাদেরকে পণ্য দেবে সেটি সরকার চাইলে করতে পারে। কারণ সরকার জানে যে কোন প্রতিষ্ঠানে কি পরিমাণ পণ্য আছে। আর তাই আমাদের সকলের অনুরোধ সরকারের কাছে ও টিসিবির কাছে যাতে রমজানে কিছুটা হলেও নিত্য পণ্যের দাম কমানো হয়।