খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭: ভিয়েনা যাওয়ার সময় বাংলাদেশ বিমানে প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মধ্যে স্যুপের ফ্লাস্কে নিরাপত্তা ট্যাগ কেন লাগানো ছিল না, তার তদন্তে কমিটি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভিয়েনা থেকে ফেরার পর বুধবার বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একথা জানিয়েছেন।
দুদিনের সফরে সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার একটি বোয়িংয়ে অস্ট্রিয়া রওনা হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে যে খাবার দেওয়া হয়, তাতে নিরাপত্তা ট্যাগ থাকে। বিমানের ওই ফ্লাইটে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) সরবরাহ করা স্যুপের দুটি ফ্লাস্কে নিরাপত্তা ট্যাগ ছিল না বলে তা এসএসএফ ফেরত পাঠিয়ে দেয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, “স্যুপের ফ্লাস্কে সিকিউরিটি ট্যাগ লাগানো হয়েছিল, কিন্তু নম্বরটা দেওয়া হয়নি। তখন সেটাকে অফলোড করে দেওয়া হয়েছে। এই হল ঘটনা।”
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ‘ভুল’ খবর আসছে দাবি করে তিনি বলেন, “এগুলো খুবই বিব্রতকর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনিও বলেছেন, ‘তেমন কিছুই হয়নি’।
“ওই জিনিসগুলো কোথাও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। সেগুলো বিমানের এমডির কক্ষে রক্ষিত রয়েছে।”
তারপরও সরকারপ্রধান সংশ্লিষ্ট এই ঘটনাটি তদন্ত করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যস্থাপক (জিএম) মাকসুদুল রেজাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
কমিটির সদস্যরা হলেন- হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ইকবাল কবির ও বিমান মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।
মন্ত্রণালয় গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান মেনন।
শেখ হাসিনাকে বহনকারী একটি বিমানকে গত বছর যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল। পরে একটি নাট ঢিলা পাওয়া যায়। ওই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা মানতে নারাজ আওয়ামী লীগের নেতারা।
এর আগে আরেকবার বিদেশ থেকে আসা শেখ হাসিনার বিমান অবতরণের সময় রানওয়েতে কিছু পড়ে থাকায় পুনরায় আকাশে উঠে যেতে হয়েছিল।